টাঙ্গাইলে লকডাউনের মধ্যেই চলছে দূরপাল্লার বাস !


শহরের মাকের্ট. শপিংমল, ছোট বড় দোকানসহ মাঝারি বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও লকডাউন উপেক্ষা করে টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে যাচ্ছে দূর পাল্লার বাস। এতে চরমভাবে বাড়ছে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকির শঙ্কা। গত কয়েক দিন ধরে জেলার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় (২২ জুন) মঙ্গলবার থেকে টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে নতুন বাসটার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাচ্ছে দূর পাল্লার বাস। লকডাউনের প্রথমদিন মঙ্গলবার সকাল থেকেই টাঙ্গাইল পৌর শহরের নতুন বাসটার্মিনাল থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন গন্তব্যের দূর পাল্লার বাস ছেড়ে যায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড, ডিস্ট্রিক গেইট, কুমুদিনী কলেজ গেট, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, নগরজলফৈ রোড়, ভিক্টোরিয়া রোড, নিরালা মোড়, শান্তিকুঞ্জ মোড়, বেবীস্ট্যান্ড, বটতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখায় পুলিশের চেক পোস্ট রয়েছে। শহরে শত শত মানুষকে পায়ে হেটেই গন্তব্যে পৌছাতে দেখা গেছে। তবে লকডাউনে শহরের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের অনুমতিতে রাবনা বাইপাস হয়ে বাস চলাচল করছে। কোন বাস শহরের প্রবেশ করছে না। আমরাও প্রশাসনের নির্দেশনার সাথে এক মত।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম বলেন, টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য পুলিশের ১৩ টি চেক পোস্ট ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় ৫টি চেক পোস্টের মাধ্যমে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
অপর দিকে টাঙ্গাইলে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১২১ জন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানা যায়, ৩৩৫ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২১ নতুন রোগী শনাক্ত হয়। জেলায় শনাক্তের হার শতকরা ৩৬ দশমিক ১১ ভাগ। জেলায় মোট করোনা রোগী ৬৩৯৫ জন। মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১০১ জন।