কঠোর বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ


টাঙ্গাইলে করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ বিস্তার রোধে টাঙ্গাইল পৌরসভা ও এলেঙ্গা পৌরসভায় কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে।
আগামী মঙ্গলবার (২২ জুন) থেকে এ কঠোর বিধি-নিষেধ কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি রোববার (২০ জুন) কঠোর বিধিনিষেধের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যে রয়েছে, সকল প্রকার যানবাহন (যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, অটোরিক্সা, রিক্সা, ইজিবাইক, টেম্পু, সিএনজি, ট্রাক্টর, মোটর সাইকেল ইত্যাদি) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবাদনের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া, বিদেশগামী/বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।
আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-ত্রাণ বিতরণ স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।
সকল সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের জনবল নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে।
শিল্প-কারখানা ও নির্মান কার্যাদি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক চালু থাকবে। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে।
সন্ধ্যা ৬.০০ টা থেকে ভোর ৬:০০ টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন যথা- ঔষধ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি ব্যতীত কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
কাঁচাবাজার, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, ফার্মেসি ছাড়া সকল হোটেল, রেস্টুরেন্ট, খাবারের দোকান ও শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানসমূহ বন্ধ থাকবে।
কাচাঁবাজার এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ০৬.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬.০০ টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। সব পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান ওয়ালিমা, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গীর্জায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে।
- ব্যাংকসমূহ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।