ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল মাদ্রাসা ছাত্রী


টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছেন জান্নাতী (১৩) নামের অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী। শুক্রবার রাতে উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের সরাতৈল মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের বাড়িতে গিয়ে ওই বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা তানজিন অন্তরা।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের সরাতৈল মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে জান্নাতীর সাথে একই উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের চরহামজানি গ্রামের বাদশার ছেলে আবুল হোসেনের বিয়ে ঠিক হয়৷ সে অনুয়ায়ী শুক্রবার রাতে তাদের বিয়ের আয়োজন চলছিল।
পরে খবর পেয়ে রাতেই ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে ইউএনও রুমানা তানজিন অন্তরা বিয়ে বন্ধ করে দেন। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে নয়, এই শর্তে কিশোরীর বাবা-মার মুচলেকা নেওয়া হয়।
ইউএনও রুমানা তানজিন অন্তরা জানান, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারি মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাল্যবিবাহ অভিশাপের শিকার হতে যাচ্ছে একটি ফুটফুটে মেয়ে। বিষয়টি জানতে পেরে মেয়েটিকে রক্ষার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি। প্রায় ১ কিলো পায়ে হেটে পথ পেরিয়ে মেয়েটির বাসায় হাজির হয়ে দেখতে পাই। মেয়েটির অভিভাবক বিয়ের সকল আয়োজন করেছেন। তবে আমাদের আসার সংবাদ পেয়ে বরপক্ষ কণের বাড়িতে না এসে কাছাকাছি কোথাও অবস্থান করছেন বলে জানা যায়। দারিদ্র্যের কারণে মেয়েকে অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে মেয়ের বাবা স্বীকার করেন।
তিনি আরও বলেন, মেয়ে ও মেয়ের অভিভাবকদের বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে এবং এই অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে জানালে তারা তাদের ভুল স্বীকার করেন। মেয়েকে ১৮ বছর পূর্ণ হবার পূর্বে বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন। এসময় মেয়েটির পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য সহায়তার আশ্বাস প্রদান করা হয়।