বিএনপির মুখে গণতন্ত্র, অন্তরে ষড়যন্ত্র-প্রতিহিংসা: সেতুমন্ত্রী


যারা হত্যা ও ষড়যন্ত্রকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছে তারাই দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে অন্যতম প্রধান বাধা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিই এ দেশে সহাবস্থানের রাজনীতির পথে অন্তরায়। বিএনপির ধ্বংসাত্মক রাজনীতি সহাবস্থানের পরিবেশকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে দিনের পর দিন। বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের অন্তরে ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসা বলেও মন্তব্য কাদের।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের চলমান অগ্রযাত্রায় প্রয়োজন দায়িত্বশীল বিরোধীদল কিন্তু বিএনপি সেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে অব্যাহতভাবে ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে করেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। সরকার না কি স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করছে, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট কোন চেতনা?
ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের কাছে আরও জানতে চান ভোটারবিহীন নির্বাচন, হ্যাঁ-না ভোটের নামে প্রহসন, এক কোটি ২৭ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি, মাগুরার নির্বাচন, ১৫ ফেব্রুয়ারির জালিয়াতির নির্বাচন কী তাহলে স্বাধীনতার চেতনা?
স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি, রাতের বেলায় কারফিউ গণতন্ত্র, আর সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা দান করাও কী স্বাধীনতার চেতনা, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের। বিদেশের কাছে দেশকে মর্যাদাহীন করা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, হাওয়া ভবনের নামে আকণ্ঠ নিমজ্জিত দুর্নীতি চর্চা এসব যদি বিএনপির স্বাধীনতার চেতনা হয়, তাহলে বলার কিছু নেই বলেও মনে করেন সেতুমন্ত্রী।
বিএনপি চেতনার মর্মমূলে রয়েছে স্বাধীনতার প্রতি আস্থার ঘাটতি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে তারা আজ চেতনার কথা বলে! নির্লজ্জতারও একটি সীমা থাকে।
গণতন্ত্রকে পকেটবন্দি করেছিল বিএনপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল বিএনপি।
মন্ত্রী বলেন, নৈরাজ্যের মাধ্যমে কেড়ে নিয়েছিল মানুষের অধিকার, আগুন সন্ত্রাস আর দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ ছিল বিএনপির সেরা অর্জন। জনগণ নাকি আওয়ামী লীগের বিচার করবে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, ইতোমধ্যে অপরাজনীতির জন্য জনগণের আদালতে বিএনপির বিচার শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচন ও আন্দোলনে জনগণের প্রত্যাখ্যান তারই প্রমাণ।
মিথ্যাচার আর অপরাজনীতির জন্যে ইতিহাসের কাঠগড়ায় এখন বিএনপি বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
এর আগে সচিবালয়ে জার্মানির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ফারেন হোলজ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশ হিসেবে জার্মানির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে যে আহ্বান জানিয়েছেন তাতে জার্মান সরকারের সমর্থন বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছে।