টাঙ্গাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধার নির্যাতনের শিকার ১০ বছরের শিশু


টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ আলী খানের বিরুদ্ধে আব্দুল্লাহ আল রাফি নামের ১০ বছরের এক শিশুকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে বুধবার (১৬ জুন) দেলদুয়ার থানা, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব) ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেলে উপজেলার এলাসিন ইউনিয়নের সিংহরাগী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আব্দুল্লাহ আল রাফি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মোস্তাক আহম্মেদের ছেলে।
আব্দুল্লাহ আল রাফির মা মেরী জানান, কয়েক দিন আগে রাফিকে নিয়ে তার বাবার বাড়ি সিংহরাগী গ্রামে আসেন। মঙ্গলবার বিকেলে গ্রামের অন্যান্য সমবয়সী শিশুদের সাথে খেলাধুলা করতে ছিলো। রাফি খেলার এক ফাঁকে ফরহাদ আলী খানের আম গাছের নিচে লুকিয়ে থাকে। বিষয়টি গাছের মালিক ফরহাদ আলী খান চোর ভেবে বাঁশের লাঠি দিয়ে রাফিকে আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভয়ে রাফি পায়খানা প্রসাব করে দেয়। রাফি আত্মচিৎকারে তার মা মেরী এগিয়ে গেলে তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ পারেন।
পরে ফরহাদ আলী খানের বিচারের দাবিতে দেলদুয়ার থানা, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব) ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করা হয়।
মেরী বলেন, ‘বাবার বাড়ি বেড়াতে এসে প্রভাবশালী ফরহাদ আলীর হাতে আমার ছেলে মার খেয়েছে ও আমাকে লাঞ্চিত হতে হয়েছে। এর আগেও ফরহাদ আলী এলাকার নিরীহ একাধিক ব্যক্তি মারধর করেছে। তার ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না। আমি ফরহাদ আলীর বিচার দাবি করছি।
ফরহাদ আলী খান বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। গ্রামের ছেলেরা আমার বাড়ির আম, জাম ও লিচু পেরে খায়। চুরি করেও নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বাসার কলিং বেলে চাপ দিয়ে বিরক্ত করে যায়। এ সব কারণে তাদের পেটানোর ভয়ও দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে দুইজন বাড়ির ভিতরে আর দুইজন বাহিরে পাহাড় দিচ্ছে। ওই ছেলে জিজ্ঞেস করা মাত্র সে আমার বাড়ি থেকে দৌড় দিছে। আমি মনে করছি আমার দু নালা বন্দুক চুরি করে পালাচ্ছে। পরে চোর ভেবে অন্য ছেলেদের দিয়ে তাকে ধরিয়ে নিয়ে আসি। তাকে জিজ্ঞেস করলেই বাড়ি বগুড়া বলে জানায়। পরে তাকে আমি বাঁশের কুনচি দিয়ে কয়েকটি বাড়ি দেই। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার রাতেই সমাধান করা হয়েছে।’