বংশাই নদীর ভাঙন ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে সড়ক অবরোধ

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:২৩ পিএম, রোববার, ২৯ নভেম্বর ২০২০ | ৪৫১

টাঙ্গাইলে মির্জাপুর পৌর এলাকায় বংশাই নদীর ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবিতে নদীর তীরবর্তী সহ্স্রাধিক নারী পুরুষ মানববন্ধন বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে।

আজ ২৯ নভেম্বর রবিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে পৌর এলাকার পুষ্টকামুরী পূর্বপাড়ার (সওদাগর) নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সাথে নিয়ে একাব্বর হোসেন সেতুর ওপর স্থানীয়রা এই কর্মসূচী পালন করেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন মির্জাপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইজুদ্দিন, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি সরব আলী, সহ-সভাপতি মাসুদ রানা মাসুম, উপজেলা মহিলা লীগ সভাপতি রওশনারা বেগম, বদর উদ্দিন লাভলু মিয়া প্রমুখ।

প্রতিবছর পৌর এলাকার বংশাই নদীর ভাঙনে ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এবছর এই ভাঙন আরো তীব্র আকার ধারণ করায় ক্ষতিগ্রস্তরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। নদী ভাঙন রোধ এবং বসতভিটা রক্ষায় কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা বংশাই নদীর ওপর নির্মিত আলহাজ্ব মো. একাব্বর হোসেন সেতুতে মানবন্ধনের আয়োজন করে। 

সহস্রাধিক  নারী পুরষের উপস্থিতিতে আয়োজিত এই মানববন্ধন মির্জাপুর-পাথরঘাটা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধে রুপ নেয়। 

পরে বিক্ষোব্দ লোকজন আধাঘন্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে ঘরবাড়ি সেতু ও অন্যান্য স্থাপনা রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবছর একটি চক্র শুকনো মৌসুমে ভেকু দিয়ে নদীর পারে মাটি কাটে এবং বর্ষায় ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালি তুলে। ফলে প্রতিবছর নদী ভাঙনের কবলে পড়ে তীরবর্তী মানুষেরা। নদী ভাঙনের ফলে পুষ্টকামুরী পূর্বপাড়া, কুমারজানী উত্তর পাড়ার প্রায় অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন আশ্রয় হারিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় খুজছে। নির্বাচন আসলে সবাই গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ায় এবং নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার জন্য সবকিছু করার প্রতিশ্রুতী দেয়। নির্বাচন শেষ হলে তাদের খোঁজ আর কেউ রাখেনা বলে তারা অভিযোগ করেন।

তারা বলেন জরুরী ভিত্তিতে নদী ভাঙন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে বংশাই নদীর ওপর নির্মিত আলহাজ্ব মো.একাব্বর হোসেন সেতু ওই পাড়ার একমাত্র মসজিদ, রাইচমিলসহ পুরো পাড়াই নদীতে পরিনত হবে। ওই পাড়ার দরিদ্র লোকজন তাদের শেষ আশ্রয়টুকু রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, ওই এলাকার নদীভাঙন সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। তারা এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। সেতুটি যাতে হুমকির মধ্যে না পড়ে সেদিকে নজর রাখা হবে বলে তিনি জানান।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ভাঙনের খবর জেনেছেন। বরাদ্দ না থাকায় কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।