মোরেলগঞ্জে প্রবল বর্ষণে ভেসে গেছে সাড়ে ৩ হাজার মাছের ঘের


একদিকে বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপ গত দু’দিনের টানা বর্ষণে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন সাড়ে ৩ হাজার মৎস্য ঘের ও পুকুর ডুবে গেছে। পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে । সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মৎস্য সম্পদের।
প্রবল বর্ষনে মৎস্য অধ্যুষিত উপজেলা জিউধরা, বহরবুনিয়া, নিশানবাড়িয়া,পঞ্চকরণ ইউনিয়নের প্রায় শতভাগ মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে । ভেসে গেছে হাজার হাজার পুকুরের মাছ। মৎস্য ঘের ভেসে যাওয়ায় মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছে।
ইউপি সদস্য ও মৎস্য ব্যবসায়ী মিরাজুল ইসলাম মিলন তালুকদার জানান, গেল বুলবুল ও আম্পানের ব্যাপক ক্ষতির পর আবারো এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা ঘের মালিক ও মৎস্য ব্যবসাীদের দ্বারা অসম্ভব। এখন তাদের একমাত্র ভরসা সরকারি সহযোগীতা ও পৃষ্ঠপোষকতা ।
ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার, আব্দুর রহিম বাচ্চু, এইচএম মাহমুদ আলী, জাহাঙ্গীর আলম বাদশা ও রিপন তালুকদার জানিয়েছেন, দু’দিনের ভারী বর্ষণে মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীদের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে হাজার হাজার পুকুর ও ঘেরের মাছ।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জলাবদ্ধতা না হলে ভারী বর্ষনে আমন ক্ষেত পানির নিচে থাকলেও তেমন কোন ক্ষতি সম্ভবনা নেই।
উপজেলা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার বিনয় কুমার রায় জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খোঁজ নিয়ে পানিতে নিমজ্জিত পুকুর ও ঘের মালিকদের প্রাথমিক ক্ষতির তালিকা নিরুপন করে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, দু’দিনের বৃষ্টিতে যেসব ঘের তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের তালিকা নির্নয় করতে বলা হয়েছে।