জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায়

খালেদার দূনীতি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়নি আদালত

আলোকিত প্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫২ পিএম, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ | ৩৯৭

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেয়া হয়েছে। এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পায়নি আদালত। তাই এ মামলা থেকে তিনি খালাস পাবেন। মঙ্গলবার বিশেষ আদালত শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এছাড়া খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান বলেন, সোনালী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ কেউ প্রমাণ করতে পারেননি যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতিতে খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল। এ সংক্রান্ত কোনো নথিপত্র কেউ আদালতে উপস্থাপন করতে পারেননি। ৩২ সাক্ষীর কেউ বলেননি যে খালেদা জিয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন- যোগ করেন আব্দুর রেজ্জাক খান।

এদিকে, দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, ব্যারিস্টার মওদুদ এই মামলা নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন। খালেদা জিয়ার তালিকাভুক্ত আইনজীবী হলেও তিনি কোর্টে আসেন না। তিনি কোর্টে এলে সাক্ষীদের বক্তব্য শুনতেন।

বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে চুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবী রেজ্জাক খান এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

এর আগে বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে খালেদা জিয়া আদালতে পৌঁছান। সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে গুলশানের নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল (ইকোনো কামাল), ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।