শ্রমিক ঠিকাদারের দরপত্র নিয়ে সংঘর্ষ,আহত ২

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:১৫ পিএম, বুধবার, ৫ আগস্ট ২০২০ | ৫০৪
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দান দীঘি এলাকায় জেমজুট লিমিটেডের শ্রমিক ঠিকাদারের দরপত্রের জের ধরে অখিল চন্দ্র রায় নামে এক ঠিকাদারকে মারধর ও হামলা চালিয়েছে ইউনুস আলী নামে আরেক ঠিকাদার।
 
এ ঘটনায়  ঠিকাদার অখিল চন্দ্র রায়সহ দুইজন আহত হয়ে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।     
আজ বুধবার ( ৫ আগস্ট) সকালে জেমজুট মিলের প্রধান গেটের সামনে  ইউনুস আলী নামে ওই ঠিকারদার ও  তার ছোট ভাই সেনাবাহিনীর সদস্য জিয়াউল হকসহ প্রায় ৩০/৪০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অখিল চন্দ্র রায় ও তার পরিবারের ওপর  হামলা চালায় । এদিকে ভুক্তভোগী ঠিকাদার অখিল চন্দ্র রায় ইউনুস আলী ও তার দুই ভাইসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের নামে বোদা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। 
 
জানা গেছে, অভিযুক্ত ঠিকাদার ইউনুস আলী ও জিয়াউর হক ও রেজাউল হক তারা তিন  জন আপন ভাই। তারা জেলার বোদা উপজেলার ময়দান দিঘী ইউনিয়নের আরাজী গাইঘাটা এলাকার  মৃত নবীর উদ্দীনের ছেলে।      
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,অখিল চন্দ্র রায় ও ইউনুস আলী দীর্ঘদিন ধরে জেমজুট লিমিটেডে (জুট মিলে) ঠিকাদারী ব্যবসা করে আসছিল এবং ইউনুস আলী ও অখিল চন্দ্র রায়ের সাথে ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ে  হঠাৎ করে বিরোধ সৃষ্টি হলে আজ বুধবার সকালে ইউনুস আলী ও অখিল চন্দ্র রায়ের সাথে হঠাৎ জেমজুট মিলের প্রধান গেটের সামনে কথা-কাটাকাটি হয় এবং ঘটনার এক পর্যায়ে ইউনুস আলী ও তার ছোট ভাই সেনা সদস্য জিয়াউল হকসহ ৩০/৪০ জন লোক  অখিল চন্দ্রের ওপর  দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতরকিত ভাবে হামলা ও মারধর করে।
 
এসময় অখিলের পরিবারের লোকজন অখিলকে রক্ষা করার  জন্য দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলে ইউনুস আলী ও তার লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়।  এসময়  স্থানীয়রা সাথে সাথে বোদা থানায় খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং স্থানীয়রা অখিল ও তার  পরিবারের সদস্যদের রক্তাার্ত অবস্থায়  উদ্ধার করে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে ভর্তি করে এবং বর্তমানে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। 
 
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ঠিকাদার অখিল চন্দ্র রায় জানান,আমি দীর্ঘ দিন ধরে জেমজুট মিলে ঠিকাদারি ব্যবসা করে আসছি। হঠাৎ  ইউনুস আলী আমার ব্যবসা ধ্বংস ও আমাকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করে আমার ও আমার পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে।  আমি তার সুস্ঠ বিচার ও শাস্তি কামনা করছি।       
 
এদিকে অভিযুক্ত ঠিকাদার ইউনুস আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া পাওয়া যায়।  
 
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  আবু হায়দার মোঃ আশরাফুজ্জামান জানান, আজ সকালে জেমজুট এলাকা  দুই ঠিকাদারের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আহতদের হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয় । এ ঘটনায় অখিল চন্দ্র রায় থানায় ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছে।