সাংবাদিক হাফিজুর রহমানের উদ্যাগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে করোনায় কর্মহীন প্রায় শতাধিক গরীব-দুঃখী পরিবারের মাঝে সাংবাদিক হাফিজুর রহমান ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও তার এক মাসের বেতনের টাকায় এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
শুক্রবার(২৪ এপ্রিল ২০ইং) বাজিতপুর তার নিজ বাড়ীতে সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে গায়ে মাখা সাবান ও খাদ্য সামগ্রী ছোলাবুট , মুড়িসহ ইত্যাদি বিতরণ করা হয় ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ভি.ডিপি’র বীরতারা ইউনিয়ন দলনেত্রী আমেনা খাতুন, সোসাইটি ফর সোসাল সার্ভিস(এসএসএস)র সভার ডেন্ডাবর শাখা’র সিনিয়র অফিসার মোখলেছুর রহমান, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ইডিডিএ কর্মচারী আবুল হোসেন, সমাজ সেবক লালচাঁন বাদশা, রিগেন হাসান, রেজনু, রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, খলিলুর রহমান, মনিরুজ্জামান, শাজাহান আলী সহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
খাদ্য সামগ্রী পাওয়া বাজিতপুর গ্রামের মনোয়ারা, রিনা, দক্ষিনপাড়ার সাজেদা, ফালু, আলম সাধু, সুরুজ কর্তা ও বানে সহ অনেকেই জানান, আমরা এ পর্যন্ত আমাদের গ্রামের কোথাও ত্রাণ সামগ্রী পাই নাই। সাংবাদিক হাফিজুর রহমান নিজের ১ মাসের বেতনের টাকায় আমাদের মত প্রায় ‘শতাধিক গরীব-দুঃখীকে খাদ্য সামগ্রী দিছে এজন্য আমরা খুবই খুশি। আমারা আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন সে সব সময়ই গরীব মানুষের পাশে থাকতে পারে ।
এক মাসের বেতনের টাকায় ত্রাণ খাদ্যসামগ্রী বিতরণকারী সাংবাদিক হাফিজুর রহমান জানান, আমি কষ্ট করে টেলিভিশন ও পত্রিকার অফিসে সংবাদ পঠিয়ে যে টাকা এমাসে বেতন পেয়েছিলাম। কিন্তু করোনার এ দুর্যোগ মূহূর্তে আমি এই মাসের বেতনের টাকা দিয়ে গরীর-দুঃখীদের মুখে খাবার তুলে দেয়াই আমার কাছে বড় মনে হয়েছে। তাই আমি এ টাকায় খাদ্য সামগ্রী কিনে গরীর-দুঃখীদের মাঝে বিতরণ করেছি।
সাংবাদিক হাফিজুর রহমানের এমন উদ্যেগকে স্বাগত জানিয়ে ধনবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার হাবীবুর রহমান সুমন তিনি জানান, সাংবাদিক হাফিজুর রহমানের মত সমাজের বৃত্তবানরা যদি এগিয়ে আসে তাহলে আমাদের দেশের যারা কর্মহীন দরিদ্র লোক আছে তাদের আর খাবারের অভাব থাকবে না।
এ ব্যাপারে ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা সিদ্দিকা জানান, সরকারের ত্রানের সহযোগীতা পাশাপাশি গরীব অসহায়দের মাঝে সাংবাদিক হাফিজুর রহমান তার এক মাসের বেতনের টাকায় গরীর-দুঃখীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে মহৎ কাজ করেছেন। আরও অনেকেরই এভাবে এগিয়ে আসা উচিত। তাহলেই আমাদের কোন লোক না খেয়ে থাকবে না।