একই পরিবারের ৪ জনসহ টাঙ্গাইলে নতুন আক্রান্ত ৫


টাঙ্গাইলের সখিপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা একই পরিবারের আরো চারজনসহ জেলার গোপালপুরে আরোও এক নারী আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তর ব্যক্তির রিপনের সংস্পর্শে এসে তারা নতুন ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন রিপনের স্ত্রী ও তাদের দুই ছেলে এবং এক মেয়ে। তারা সবাই জেলার সখীপুর উপজেলার লাঙ্গুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এ নিয়ে জেলায় মোট ১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুইজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং গত মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সোবহান বলেন, ‘ঢাকাফেরত কাঁচামাল ব্যবসায়ী উপজেলার লাঙ্গুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা রিপন গত ২১ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর তার সংস্পর্শে আসা আরো ১১জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদের মধ্যে রিপনের স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ের করোনা পজেটিভ এসেছে। এর আগে রিপনের করোনা পজেটিভ আসার পর তার বাড়িসহ আশপাশের ৩২টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছিল। তারা সবাই সুস্থ আছেন। এজন্য তাদের ওই বাড়িতেই রাখা হয়েছে।’
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বুধবার (২২ এপ্রিল) ১১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে জেলার সখীপুরে চারজন ও গোপালপুরে একজনের করোনা পজেটিভ এসেছে। আইইডিসিআর থেকে রাতে ফোনে বিষয়টি জানানো হয়।’
এদিকে জেলার গোপালপুরে এক নারী (২০) গার্মেন্টস কর্মীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. আলীম আল রাজি জানান, আক্রান্ত ওই নারী ঢাকার একটি পোশাক তৈরী কারখানায় কাজ করতেন। তিনি গত কয়েকদিন আগে গোপালপুরের ধোপাকান্দি ইউনিয়নের কামদেব বাড়ী এলাকার নিজ বাড়িতে চলে আসেন। গত ৪-৫ দিন ধরে তার হালকা জ¦র থাকায় বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানান। পরে গত বুধবার তার নমুনা সংগ্রহ করে বৃহষ্পতিবার সকালে ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গতকাল রাতেই তার নমুনা পজেটিভ থাকার কথা জানানো হয়। আক্রান্তের শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে তার বাড়ি ও আশেপাশের এলাকা লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।