তারুণ্যকে প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত করে শিক্ষার্থীদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে -পলক

নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:৪২ এএম, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০ | ৪১৯

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, তারুণ্যকে প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত করে শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে-যাতে করে তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম হয়ে ওঠে। বর্তমান সরকার তাদের কর্মক্ষেত্রের প্লাটফর্ম তৈরী করে দিচ্ছে।

নাটোরের সিংড়া উপজেলার কোর্ট মাঠে রোববার বিকেলে ‘চলনবিল শিক্ষা উৎসব-২০’ উপলক্ষে আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। অপার সম্ভাবনাময় দেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে। এই নেতৃত্বে আসীন হবে প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ তরুণ শিক্ষার্থীরাই। তবে শুধু ভালো ফলাফলের লক্ষ্য পূরণে শিক্ষার্থীদের ব্যস্ত থাকলে চলবেনা। তাদেরকে নৈতিক মূল্যবোধ, সৎ, সত্যবাদি, দেশপ্রেমিক আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। তবেই পরিবার, সমাজ, রাস্ট্র তথা বিশ্ব মানবতা উপকৃত হবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী। তিনি নির্যাতিত স্বাধীনতাকামী এই ভূ-খন্ডের জনগোষ্ঠিকে স্বাধীন দেশ ও পতাকা উপহার দিয়ে গেছেন। সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে দেশের মানুষ দ্রুত তাদের পাঁচটি মৌলিক অধিকার পূরণের কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছে যেত। শিক্ষাকে অগ্রাধিকার প্রদান করে ৩৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একসাথে জাতীয়করণ করেছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠার জাতীয়করণ ও এমপিওভূক্তির দাবী করতে হতো না, তিনি নিজেই তা করতেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কর্ম বাস্তবায়ন করে জননেত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলার আধুনিক রুপায়ন ডিজেটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলছেন।

পলক আরো বলেন, কৃতজ্ঞ জাতি সারা বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন করে তাকে শ্রদ্ধা জানাবে। তাঁর দেখানো পথেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-২০৩০ পেরিয়ে ২০৪১ সালে পৌঁছে যাবে উন্নয়নের শিখরে। মুজিববর্ষে আমরা অতিরিক্ত ১০০ ঘন্টা মানুষের সেবা দিতে চাই, ১০০ অদম্য মেধাবীকে প্রণোদিত করে তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে চাই এবং এক লক্ষ গাছের চারা রোপন করে সবুজ-শ্যামল সিংড়া গড়ে তুলতে চাই।

অনুষ্ঠানে সিংড়া উপজেলার ৩১ জন অদম্য মেধাবীকে ল্যাপটপ এবং ৭৪৭ কৃতি শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। ১৩ জন করে রতœগর্ভা মা ও ‘সফল যারা কেমন তাঁরা’ সম্মাণনা প্রদান করা হয়।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বানু সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান শেখ প্রমুখ।