বিএনপি নির্বাচনের আগেই জেতার নিশ্চয়তা চায়


কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনের আগেই জেতার নিশ্চয়তা চায়। সরকারের পক্ষে এমন নিশ্চয়তা দেয়া কখনো সম্ভব নয়।
মন্ত্রী রোববার মির্জাপুর উপজেলার কদিমধল্যায় অবস্থিত ড. আয়েশা রাজিয়া খো›কার স্কুল এন্ড কলেজের দশম বর্ষপূর্তি উৎসবে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ড. আয়েশা রাজিয়া খোন্দকার স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সাবেক সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন এমপি, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেক ও কলেজ অধ্যক্ষ মৃণাল কান্তি ঘোষ।
এসময় টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আহাদুজ্জামান মিয়া, মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সাহাদৎ হোসেন সুমন,সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. মঈনুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহামুদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি রাজাকার আল বদররা এখনও দেশে অশান্তির নানা রকম পায়তারা করছে। নির্বাচনের আগেই বিএনপি বলছে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। নির্বাচনের আগেই তারা জয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা চায়। ভোট দেয়ার মালিক জনগণ। জনগণ যাকে ভোট দিবে তারাই নির্বাচিত হবে।
সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে মন্ত্রী কলেজ প্রাঙ্গনে পৌছালে সেখানে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তাকে স্বাগত জানান। পরে মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে মনোজ্ঞ ডিসপ্লে উপভোগ করেন।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম এর মাধ্যমেই ভোট হবে। দেশের রাজধানী বলে এই নির্বাচনটি খুবই গুরুত্বপুর্ন। । ঢাকাকে কেন্দ্র করে দেশের সংস্কৃতি অর্থনীতি সকল কিছুই আবর্তিত হয়। ঢাকায় যা হয় তারই ঢেউ লাগে সারাদেশে। এই নির্বাচনটিকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
মন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার বর্তমানে এগারো বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে এবং দেশের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আমরা রক্ষা করতে চাই। উন্নয়নের মহাসড়কে দেশকে আমরা সম্পৃক্ত করেছি। এটাকে আমরা তরান্বিত করতে চাই। আমরা শ্লোগান তুলেছি গ্রামকে শহর করবো। গ্রামে শহরের সুযোগ সুবিধা দেব।
তিনি বলেন, দেশ আজ খাদ্যে স্বংসম্পুর্ন। যে দেশে খাদ্যের এত সংকট ছিল। আজকে সেই দেশে কৃষক ধান বিক্রি করতে পারে না।
তিনি বলেন, কৃষিমন্ত্রী হিসেবে জবাব দিহি করতে হয়। ধানের দাম নাই কেন। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি ধান ও চালের দাম বাড়ানোর জন্য।
মন্ত্রী বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে ডিএপি সারের দাম ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে। মন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, এটা কে করতে পারে, এটা পারে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার। শেখ হাসিনার সরকার কৃষি বান্ধব কৃষক বান্ধব। ৬০/৭০ ভাগ কৃষক গ্রামে বাস করে। তাদের জীবন মানের উন্নয়নে কৃষকের উন্নয়ন করতে চান।
মন্ত্রী বলেন, সাময়িকভাবে ধানের দাম কম আছে। ধানের দাম বৃদ্ধির জন্য সরকার নানা ধরনের প্রদক্ষেপ নিচ্ছে। ধান লাগানো ও কাটার যন্ত্র ক্রয়ে সরকার অর্ধেক টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। উপকুলবর্তী এলাকায় এই ভুর্তুকি ৭০ ভাগ পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষা সংশ্লিষ্ঠ সকলকে কাজ করার আহবান জানান। আগামী এসএসসি পরীক্ষা সম্পুর্ণ নকলমুক্ত রাখতে সকলের সহযোগীতা কানা করেন।