প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নয়নে গাফিলতি


“মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি- মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি” ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি লাল সবুজের রক্তিম পতাকা।
সেই জাতীয় পতাকা অবমাননা করে নীলফামারী কিশোরগঞ্জের “পশ্চিম দলিরাম মাঝাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়”র প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন।
মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়-দুপুর ২টা ১৯ মিনিট বিদ্যালয়ে শুধু সহকারী শিক্ষক সীমা উপস্থিত আছেন।
অন্যান্য শিক্ষক/শিক্ষিকা কোথায় গেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন- ২ জন নামাজ পড়তে গেছেন ও ১জন দুপুরে খেতে গেছেন বলে বিষয় এড়িয়ে যান তিনি।
সরজমিনে গিয়ে আরও দেখা যায়- সহকারী শিক্ষিকা সীমা চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে দিয়ে নিজ টিফিন বাটি পরিস্কার ও অন্য আর এক শিক্ষার্থীকে দিয়ে বিদ্যালয়ের বাড়ান্দা ঝাড় দিয়ে নিচ্ছেন।
প্রধান শিক্ষককে ফোন করলে তিনি বলেন- তিনি দুপুরে খেতে গেছেন এবং পরক্ষনেই তিনি বিদ্যালয়ে আসেন এবং সেই সাথে অন্যান্য শিক্ষক/শিক্ষিকারা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। বিদ্যালয়ের সম্মুখে জাতীয় পতাকায় দৃষ্টি গেলে দেখা যায় জাতীয় পতাকাটি ছেড়া অবস্থায় আকাশে দোল খাচ্ছে।
বিদ্যালয়ে ছেড়া পতাকা ব্যবহার সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- নিজের শরীরের পোষাক যে কোন সময় ছিড়ে যেতে পারে। তিনি পতাকাটি ছেড়া অবস্থায় দেখেছেন। কিন্তু একটি নতুন পতাকা ক্রয় করার কথা ছিল, তার মনে না থাকায় পতাকা কেনা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- বিদ্যালয়ে অনেক অনিয়মের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- শিক্ষর্থীদের দ্বারা বিদ্যালয় ঝাড়ু দেওয়া ও শিক্ষক/শিক্ষিকার টিফিন বাটি পরিষ্কার করা। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনে বিদ্যালয়ের অনিয়ম দূরীকরণসহ, বিভিন্ন উন্নয়নমুলক বরাদ্দের সুষ্ঠ ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যালয় সংষ্করন করার আহ্বান।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিন্দা জানিয়েছেন, এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।