ছিলেন লাগেজ বিক্রেতা, হলেন ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রক


এনামুল হক আরমান। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি। তিনিও বহুল আলোচিত ক্যাসিনো কাণ্ডের অন্যতম হোতা। তবে সামান্য লাগেজ বিক্রেতা থেকে ক্যাসিনো ব্যবসা করে আরমান কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
আরমান ও ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য বেরিয়ে আসছে।
র্যাব জানায়, নোয়াখালীর ছেলে আরমান একসময় বায়তুল মোকাররম মার্কেটের লাগেজ বিক্রেতা ছিলেন। তার যাতায়াত ছিল মতিঝিল ক্লাবপাড়ায়।
বিএনপি সরকারের সময় হাওয়া ভবনেও তার যাতায়াত ছিল। ওই ভবনের জনৈক এক ব্যক্তির প্রভাবে তিনি রাতারাতি ফকিরাপুলের কয়েকটি ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা শুরু করেন। ক্ষমতার পালাবদলে তিনি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সান্নিধ্য লাভ করেন। এ সময় তিনি সম্রাটের প্রভাব খাটিয়ে মতিঝিল ক্লাবপাড়ার প্রায় ১০ টি ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা শুরু করেন। সম্রাটের প্রভাব খাটিয়ে তিনি ক্যাসিনো ব্যবসার নিয়ন্ত্রক বনে যান। পরে দুজনে মিলে এ ব্যবসার প্রসার ঘটান। তবে সম্রাট এই ব্যবসায় গুরু বলে মানতেন আরমানকে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া পরিচালক সরওয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা হওয়ার পর তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো তথ্য নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
উল্লেখ্য রোববার ভোরে কুমিল্লার একটি বাড়ি থেকে যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট (সদ্য বহিষ্কারকৃত) ও এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রোববার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুজনেই র্যাব হেফাজতে ছিলেন।