ঝিনাইদহে মোয়াজ্জিন হত্যা রহস্য উম্মচন সাবেক প্রেমিকা গ্রেফতার

ঝিনাইদহ থেকে জাহিদুর রহমান তারিক
প্রকাশিত: ০৭:৫৯ পিএম, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০১৯ | ৪৬২

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের বানিয়াবহু গ্রামের পাট ক্ষেতে হাফেজ সোহেল রানা (২৩) নামে মসজিদের এক মোয়াজ্জিনকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ঘাতক দলের এক নারী সদস্যাকে। তার নাম জুলিয়া।তিনি ঝিনাইদহ সদরের বাগুটিয়া গ্রামের ঘাতক দলের আরেক সদস্য রাজুর স্ত্রী। পলাতক রয়েছে জুলিয়ার স্বামী রাজু, তার বন্ধু সুমন ও মামাতো ভাই নাজমুল।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস জানান, মঙ্গলবার সকালে বানিয়াবহু গ্রামের মাঠের একটি পাট ক্ষেতে এক যুবকের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনস্থলে পৌঁছে দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

পরিবারের লোকজন এসে তার পরিচয় নিশ্চিত করে। নিহতের মা রেখা বেগম জানান, তার ছেলে কালীগঞ্জের চাপালি গ্রামের মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে মোয়াজ্জিনের দায়িত্বে পালন করে আসছিলেন। কি কারণে তার সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে তা তিনি জানেন না।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান মঙ্গলবার দুপুরে জানান, নারী ঘটিত কারণে সোহেল রানাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিয়ে আগে থেকেই জুলিয়া খাতুনের সাথে নিহত রাজুর দৈহিক সম্পর্ক ছিল। জুলিয়্রা বিয়ে হলেও পিছু ছাড়েনি সোহেল রানা। তিনি কোটচাঁদপুর থেকে এসে ওই এলাকায় থাকতেন। নেন মসজিদের মোয়াজ্জেমের চাকরী। এদিকে জুলিয়া তার সাবেক প্রেমিককে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে তার স্বামী রাজুর সাথে নিয়ে হত্যার ছক আঁট।

সেই পরিকল্পনা মোতাবেক সোহেল রানাকে সোমবার ধরে এনে গলা ও পরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করে। এ নিয়ে জুলিয়া আদালতে ৬ পাতার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে হত্যার পুরো ঘটনা বর্ননা করেছেন। ওসি মিজানুর রহমান খান বলেন, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ধার করতে পেরে ভাল লাগছে।

কালীগঞ্জ উপজেলার চাপালী মসজিদের মোয়াজ্জিন নিহত সোহেল রানা কোটচাঁদপুর উপজেলার সাব্দালপুর ইউনিয়নের লক্ষীকুন্ডু গ্রামের জোয়ারদার পাড়ার বখতিয়ার রহমানের ছেলে।