বাগাতিপাড়ায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করায় শিক্ষক সমাজের নিন্দা

বাগাতিপাড়া (নাটোর) সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৫৮ পিএম, শনিবার, ১৮ মে ২০১৯ | ৬১৪

বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সঠিক সময়ে আগমন-প্রস্থান নিশ্চিত করণ, সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী সকল শিক্ষক-কর্মচারীর যাবতীয় কার্যাদী সঠিক সময়ে নিষ্পত্তি করণ, নিয়মিত বিদ্যালয় পরিদর্শনের কারণে সঠিক সময় পর্যন্ত পাঠদান নিশ্চিত করা সহ সৎ ও নিষ্ঠার সাথে যোগ্য শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফাইজুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করেছেন বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর লিখিত একটি আবেদনে উল্লেখ করেছেন উপজেলায় কর্মরত প্রায় শাতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ।

বাগাতিপাড়া উপজেলায় কর্মরত শিক্ষকদের স্বাক্ষরিত লিখিত আবেদন সূত্রে জানাযায়, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও একজন সহকারী শিক্ষিকাকে জড়িয়ে অনৈতিক সম্পর্ক শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তা মিথ্যা ভিত্তিহীন ও অসৎ উদ্দ্যেশে করা হয়েছে বলে নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তিনি রাজশাহী বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন। তার কর্ম দক্ষতার কারনেই তিনি এতদূর পৌছেতে পেরেছেন। অথচ তাকে জড়িয়ে যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তাতে ওই শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তার মান ক্ষুন্ন হওয়ার সাথে সাথে সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। এমন দক্ষ একজন কর্মকর্তাকে উপজেলা থেকে সরাতেই কিছু কুচক্রি শিক্ষক কথিত সাংবাদিককে ব্যবহার করে এমন মিথ্যাচার করে।

তবে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে উপজেলা থেকে ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরানো হলে ভবিষ্যতে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়বে বলে মনে করেন তাঁরা। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার আসল সত্য বেরিয়ে আসবে এবং ন্যায় বিচারের স্বার্থে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন মনে করেন আবেদকারী শিক্ষক বৃন্দ।

লিখিত আবেদনটি সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক, জেলা প্রশাসক নাটোর, বিভাগীয় উপ-পরিচালক রাজশাহী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং জেলা-উপজেলা প্রেস ক্লাবকে অবহিত করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি বাগাতিপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি শাহাদত হোসেন দাবি করেন, ‘উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের উপজেলায় কর্মরত আছেন। তিনি কখনই কোন শিক্ষক-কর্মচারীর সাথে খারাপ আচরণ করেন নাই। যে শিক্ষিকাকে জড়িয়ে এমন অপপ্রচার করা হয়েছে তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান।

এমন মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। স্যার এতো আন্তরিকভাবে পেশাগত দাযিত্ব পালন করার পরেও তার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যাচার কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনায় আমরা শিক্ষক-কর্মচারী বৃন্দ আন্তরিকভাবে দু:খিত ও মর্মাহত।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নাটোর জেলা কমিটির আহবায়ক মোঃ মকিম উদ্দিন জানান, কিছু ফাঁকিবাজ শিক্ষক কথিত সাংবাদিককে এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে। যে ঘটনায় কোন অভিযোগকারী নেই, সত্যতা নেই এমন ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করে একজন অফিসারের মান ক্ষুন্ন করার অধিকার কারো নেই। এমন অন্যায় প্রতিষ্ঠিত হতে দিলে কর্মকর্তাগণ ভালো কাজে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন।