ভূঞাপুরে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই খুশি

মামুন সরকার ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:১৩ এএম, বুধবার, ১৫ মে ২০১৯ | ৯৭৪

রমজান মাসে ভূঞাপুরের বাজারগুলোতে শাক-সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম রয়েছে ক্রেতাদের হাতের নাগালেই। উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত তদারকি ও বিভিন্ন দ্রব্যের আমদানী বেশি থাকায় বিক্রেতেরা অধিক মূল্য নিতে পারছেনা। বর্তমান বাজার পরিস্থতি নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই খুশি।

উপজেলার গোবিন্দাসী, নিকরাইল, ফলদা, মাটিকাটা, পাথাইলকান্দী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে আসা ক্রেতাদের মধ্যে তেমন কোন হতাসা নেই। ক্রেতাদের দাবী রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হাতের নাগালেই রয়েছে। এসব বাজার গুলোতে ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা, মুলা ২০ থেকে ৩০, শশা ৩০ থেকে ৪০, পটল ৩০ থেকে ৪০, টমেটো ৪০ থেকে ৫০, পেঁপে ২০ থেকে ৩০, আলু ২০ থেকে ২৫, বেগুন ৩০ থেকে ৪০, ধুন্দল ৩০ থেকে ৪০, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে আদা ও রসুন।

আর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। দীর্ঘদিন থেকে সেই একই দামে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। এছাড়া বাজার ভেদে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ কেজি। প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। তবে মাংসের মতো চড়া নয় মাছের দাম। বাজার গুলোতে তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০, পাঙাশ ১৫০ থেকে ১৮০, রুই ২৫০ থেকে ৩৫০, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০, শিং ৫০০ থেকে ৬০০ এবং চিতল বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে। মাছ-মাংসের দাম কিছুটা বেশি হলেও ক্রেতাদের তেমন কোন অভিযোগ নেই।

ভূঞাপুর কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা মিজান মিয়া বলেন, এবার রমজানে প্রচুর শাক-সবজির আমদানি রয়েছে। আমদানি বেশি থাকার কারণে সবজির দাম অনেটাই কমে গেছে। সে কারনে প্রতিদিন হাট-বাজারে প্রচুর শাক-সবজি বিক্রি হচ্ছে।

গোবিন্দাসী হাটের মসল্লা বিক্রেতা আব্দুল হালিম বলেন, অন্যান্য বছরের রমজান মাসের চেয়ে এবছর রমজানে মসলার দাম অনেক কম। যার কারণে বছরের অন্যান্য হাটের তুলনায় রমজান মাসের হাট-বাজারগুলোতে দ্বিগুণ বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হাটে আমি প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মসলা বিক্রি করি।

ব্রয়লায় বিক্রেতা রাসেল বলেন, গরুর মাংস ও মাছের দাম একটু বেশি হলেও বাজারে ব্রয়লায়ের চাহিদা অনেক বেশি। রমজানের আগে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। রমজানের প্রথম থেকেই প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।

গোবিন্দাসী হাটে আসা ক্রেতা দুলাল হোসেন বলেন, মাছ-মাংসের দাম কিছুটা বেশি হলেও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োনীয় জিনিস পত্রের দাম রয়েছে হাতের নাগালেই। যার ফলে রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার ও মাছ মাংস কিনতে আমাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। আরেক ক্রেতা বাবু মিয়া বলেন, হাট-বাজারগুলোতে প্রচুর শাক-সবজি পাওয়া যায়। অন্যান্য সময়ের চেয়ে দাম কম থাকায় মাছ-মাংস ও শাক-সবজি কিনতে আমাদের কোন সমস্যা হয় না।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু বলেন, মাছ- মাংসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরকার নির্ধারিত মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে। তাই ক্রেতাদের কোন অভিযোগ নেই। আমাদের উপজেলা প্রশাসনে সুষ্ঠু মনিটরিংয়ের কারনে বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ জানান, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োনীয় জিনিস পত্রের দাম স্বাভাবিক রাখার জন্য আমরা উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বাজার বণিক সমিতির সদস্যদের সাথে বাজার নিয়ন্ত্রণ আলোচনাসভা করেছি। এছাড়াও আমরা প্রতিনিয়ত উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে মনিটরিং অব্যাহত রেখেছি।