গুইমারা গুচ্ছগ্রামে ভূমিদস্যু কতৃক হামলা

ঘর-বাড়ি ভাংচুর,লুটপাট ও মহিলাদের শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত

খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১০:৪১ এএম, রোববার, ২২ অক্টোবর ২০১৭ | ২০৭

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার ২নং হাফছড়ি ইউপির হাতিমুড়া এলাকায় ৩৩ পরিবারের সমন্বয়ে একটি গুচ্ছগ্রামে ভূমিদস্যু কতৃক হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুর,লুটপাট ও পরিবারের মহিলাদের শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করা হয়েছে।

১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কতৃক বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে পরিবার প্রতি ০.২৫ শতক পরিমান ভূমি দিয়ে হাফছড়ির হাতিমুড়ায় একটি গুচ্ছগ্রামের সৃষ্টি করা হয়েছে। সেখানে বসবাসরত পরিবারগুলো বিগত প্রায় ৩০ বছর যাবতত প্রায় ৬ একর ভূমির উক্ত গুচ্ছগ্রামে শান্তিতে বসবাস করে আসলেও এবার তাদের উপর নেমে এসেছে অবৈধ ভূমি দখলদার রুস্তম তালুকদার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অমানুষিক নির্যাতন।

জানা গেছে, খাগড়াছড়ি জর্জকোর্টেরর সাবেক পেশকার ওবাযদুল্লার মাধ্যমে ভূমি দস্যু রুস্তম একটি জাল দলিল তৈরী করেরে,যার অবস্থান প্বার্শবর্তী মানিকছড়ি উপজেলায় হলেও দলিলের চৌহদ্দি দেওয়া হয়েছে হাতিমুড়ার উক্ত গুচ্ছগ্রামকে।


এদিকে রুস্তম তালুকদার,তার ভাই আল আমিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ হাতিমুড়ার উক্ত গুচ্ছগ্রামের নিরীহ পরিবারগুলোকে নানা ভাবে হুমকি,মিথ্যা মামলা দায়ের সহ নানা ভাবে উচ্ছেদের পরিকল্পনা করে আসছিলো বলে জানায় স্থানীয়রা।

গত ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে ও রাতে রুস্তম বাহিনী দফায় দফায় গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা জালাল শিকদারের বাড়িতে প্রকাশ্য হামলা চালিয়ে ভাংচুর,লুটপাট করে এছাড়া গতকাল বিকেলে রুস্তম বাহিনী আবারো ঐ বাড়িতে হামলা চালিয়ে জালাল শিকদারের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমসহ তার মেয়েকে ধরে নিয়ে গিয়ে রুস্তমের বাড়িতে বেধেঁ রাখে এবং শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার চেষ্টা চালায় এবং বেশকয়েকটি সাদা কাগজে তাদের সই নেয়,খবর পেয়ে রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টায় হাতিমুড়া পুলিশ ক্যাম্পের দ্বায়িত্বরত ইনচার্জ সহ স্থানীয়রা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

এ ঘটনায় স্থানীয় গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মোঃ নাছির হোসেন গুচ্ছগ্রামের ৩৩ পরিবারের পক্ষে রুস্তম গংদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি জর্জকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এছাড়াও গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মোঃ শাহাদাত হোসেন রিপন, মোঃ মাসুম,আঃবারেক সহ অনেকেরই অভিযোগ ভূমিদস্যু রুস্তম তালুকদার প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীরা তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পাননা,এছাড়া তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন