নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন লতিফ সিদ্দিকী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০১:৪৫ পিএম, রোববার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ | ১৯৫
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য ও মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন।


লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই, আমার কারণে আমার নেতাকর্মীরা মার খাবে তা আমি মেনে নিতে পারবো না। তাই আমি নিজ থেকেই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি যে, আমি ১৩৩ টাঙ্গাইল-৪ জাতীয় সংসদ আসনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতি এতই ভয়াবহ যে নির্বাচন করার পরিবেশ নেই। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় রাজনৈতিক দলে, নেতায় নেতায় জনমতকে পক্ষে পাওয়ার থাকে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। কিন্তু বর্তমান সংসদ সদস্য বালু এবং মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের ছত্রছায়ায় আমার ওপর হামলা করে গাড়ি ভাঙচুর করে, ২০/২১ জন সমর্থক আহত হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘদিন পুলিশী জুলুমের বিরুদ্ধে লড়েছি, কিন্তু পুলিশ এমন উলঙ্গভাবে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন করে নিরীহ মানুষদের হুমকি দেয়, আমার মিছিল বন্ধ করে সংসদ সদস্যের মিছিলে সহযোগিতা করে এমন দেখেনি। পুলিশের অত্যাচারের পরও আন্দোলন করা যায়, পুলিশ বিপক্ষে অবস্থান নিলে নির্বাচন করা যায় না।’

তিনি আরো বলেন, ‘সংসদ সদস্যের সরাসরি হস্তক্ষেপে, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার উসকানিতে আমার অফিস ভেঙে দিচ্ছে। পরিস্থিতি এহেন অবনতিতে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে। আমি আপনার মাধ্যমে দেশবাসীকে জানাতে চাই, আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে আমি সরে দাঁড়ালাম। আমি অসম্মানিত হই সম্মানিত হওয়ার জন্য।’

 
অসুস্থ হয়ে পড়লে একইদিন সকালে ডিসি অফিসের সামনে থেকে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন তিনি।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে যান লতিফ সিদ্দিকী। কমিশন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান তিনি।