দীর্ঘ ১০'বছর পর ঘাটাইল আ'লীগ ঐক্যবদ্ধ

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:৩১ পিএম, বুধবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৩৫২
দীর্ঘ ১০বছর পর আবারো ঐক্যবদ্ধ হয়েছে টাঙ্গাইল ৩(ঘাটাইল) আসনের আওয়ামীলীগ ৷ ঘাটাইলের আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আমানুর রহমান খান (রানা) দীর্ঘজেদিন জেল হাজতে থাকায় এই আসনে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দল দেখা দেয় ৷
 
যার ফলে প্রায় ডজন খানেক নেতা কেন্দ্রে লবিং চালিয়ে যান মনোনয়ন পেতে ৷ শেষ পর্যন্ত ১২জন প্রার্থী নৌকার জন্য মনোনয়ন ফর্ম ক্রয় করেন ৷ তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আমানুর রহমান খান (রানা), এবং তার পিতা আলহাজ্ব আতাউর রহমান খান, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম লেবু, বিএসএমএমসিবি'র সাবেক ভিসি ডাঃ কামরুল হাসান খান, সদ্য দলে আসা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ তুহীন আব্দুল্লাহ, তানভীর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিয়য়ক সম্পাদক এস আকবর খান,সোনালী ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ডঃ নুরুল ইসলাম,সুপ্রীমকোর্টের সহকারি এ্যার্টনী জেনারেল শহিদুল ইসলাম, তেজগাও সরকারি কলেজের বাংলা প্রভাষক ডঃ অধীর চন্দ্র সরকার,জিবিজি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মোঃ শরিফ হোসেন ৷
 
তবে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যে ও বিভিন্ন সংস্থার জরিপে সবার থেকে অনেক এগিয়ে থাকেন বর্তমান সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ৷ তবে তাকে মনোনয়ন দেয়া থেকে বিরত থাকে মনোনয়ন বোর্ড ৷ এবং মনোনয়ন বোর্ডের এবং দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে মনোনয়ন দেয়া হয় বর্তমান সাংসদের পিতা আলহাজ্ব আতারউর রহমান খানকে ৷ তার পর থেকেই বিভিন্ন মনোনয়ন প্রত্যাশী আতাউর রহমান খানকে সমর্থন দিতে থাকেন ৷
 
এবং শেষ পর্যন্ত এমপি রানার কট্টর বিরোধী উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম লেবু সকল দ্বিধাদ্বন্ধ ভুলে নৌকার মাঝি আতাউর রহমান খান কে সমর্থন জানিয়ে দীর্ঘ ১০ বছরের অভ্যন্তরীন কোন্দলের ইতি টানেন এবং ঘাটাইল আসনে একযোগে নৌকার পক্ষে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ৷ এই দীর্ঘ কোন্দল নিরসনের ফলে স্বস্তিতে রয়েছে এই আসনের নেতা ও কর্মি সমর্থকরা ৷
 
 
এ বিষয়ে নৌকার মনোনীত প্রার্থী আতাউর রহমান বলেন, জননেত্রী আমাকে  বৃদ্ধ বয়সে নৌকার মাঝি করে পাঠিয়েছেন তাই আমি বৃদ্ধ বয়সে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলে মিলেমিশে নৌকাকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনাকে আসনটি উপহার দিতে চাই ৷ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক বলেন, জননেত্রী যাকে নৌকার মাঝি মনোনীত করেছেন সকলে মিলে তার পক্ষে কাজ করে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে চাই ৷
 
উলেখ্য, ২০০৮সালের নির্বাচনে প্রয়াত কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান খান শাজাহান কে টপকিয়ে নৌকার মাঝি হোন ডাঃ মতিউর রহমান ৷ তিনি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান খান কে বিপুল ভোটে পরাজিত করে বিজয়ী হোন ৷কিন্তু ২০১২সালে তৎকালিন সংসদ সদস্য মতিউর রহমান ইন্তেকাল করেন ৷ যারফলে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৷
 
উপনির্বাচনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী হোন শহিদুল ইসলাম লেবু এবং বিদ্রোহী প্রার্থী হোন তৎকালীন জেলা আওয়ামীলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত জননেতা শামসুর রহমান খানের ভাতিজা আমানুর রহমান খান রানা ৷ সেই নির্বাচনে বিপুল ভোটে আমানুর রহমান খান রানা বিজয়ী হোন এবং দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন ৷
 
২০১২ সালের উপনির্বাচন থেকেই যেই কোন্দল বা বিভক্তির সুত্রপাত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামীলীগ আবার এক কাতারে ৷