অসামাজিক কার্যকলাপের বাধা দেওয়া

মাভাবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীকে মারধর, দোকান ভাংচুর

টাঙ্গাইল সদর
প্রকাশিত: ০৫:৪২ পিএম, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০১৭ | ৩৩৪

অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদের জের ধরে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বহিরাগত শিক্ষার্থী। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সাধারন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের বাজারের কয়েকটি দোকান ভাংচুর করেছে।

বহিরাগত’র হামলায় আহত মোখলেসুর রহমান মুহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের মাস্টার্স এর শিক্ষার্থী। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। বর্তমানে মুহিদ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার মাথায় ৬টি সেলাঁই দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, রোরবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মান্নান হলের বর্ধিত অংশে একটি ছেলে ও একটি মেয়েকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় মুহিদ। তাদেরকে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য বলার পর বাগবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে হাতা-হাতিও হয়।

পরে সোমবার সকালে মুহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গেলে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা শাহিন পেছন থেকে চেইন দিয়ে আঘাত করে। এতে মুহিদের মাথা ফেটে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এ ঘটনায় দুপুরে উত্তেজিত সাধারন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের বাজারের কয়েকটি দোকান ভাংচুর করেছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ঘটনার সাথে জড়িতদের শিঘ্রই আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবী জানান। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদারসহ বহিরাগতদের চলাচল সীমিত করারও তুলেন।

তবে কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও টাঙ্গাইল পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে ফলপ্রসু আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই কয়েকজন শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে সাধারন শিক্ষার্থীরা বাজারের দোকান ভাংচুর করে। ফলে বিষয়টি এখন নতুন করে ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে।

এ ভাংচুরের ঘটনায় কারো ইন্দন আছে কিনা বা স্বার্থ আছে কিনা খতিয়ে দেখা দরকার বলেও মনে করেন তারা।

এসময় তারা আরো বলেন, পরিকল্পিতভাবেই দু’তিনটি দোকানে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়ে থাকতে পারে।

অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছেলেটি টাঙ্গাইল এম. এম. আলী সরকারী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র শাহিন ও মেয়েটি টাঙ্গাইল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও পরিবহন পরিচালক এবং ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আজিজুল হক বলেন, মোখলেসুর খুবই ভাল ছেলে। বিষয়টি টাঙ্গাইল পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি খুব শিঘ্রই সুরাহ করবেন বলে আস্বস্ত করেছেন।