বিএনপিতে মাদক ব্যবসার সঙ্গে কারা জড়িত, তা দেখা হচ্ছে: কাদের

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৫ পিএম, মঙ্গলবার, ৫ জুন ২০১৮ | ১৯১
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মধ্যেও কে কোথায় আছে, কে রাঘববোয়াল, কে চুনোপুঁটি—তা খোঁজা হচ্ছে। মাদক ব্যবসার সঙ্গে কারা জড়িত, তা দেখা হচ্ছে।‘পরিবেশ সংরক্ষণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।

রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটি এ সেমিনারের আয়োজন করে।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাদের মধ্যে মাদক ব্যবসার সঙ্গে কারা জড়িত, তা দেখা হচ্ছে। 
কাদের বলেন, ‘বিএনপির ঢাকা উত্তর সিটির কমিটির বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় দেখলাম।

পত্রিকার রিপোর্টে আছে, এর মধ্যে মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী এ কমিটিতে আছে। তাই আপনারাই (বিএনপি) তো স্বীকার করলেন সদ্যঘোষিত কমিটিতে মাদকাসক্ত, মাদক ব্যবসায়ী আছে। আর কোথায় কোথায় আছে তা খোঁজা হচ্ছে।’

চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের বন্ধু, আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তারা তদন্ত চাইতেই পারে। কিন্তু এখানে আমরা নিজেরাই তদন্ত করছি। শেখ হাসিনা সরকারই তদন্তের বিষয়ে যথেষ্ট। অন্য কারও মাথা ঘামানোর দরকার নেই।’

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কক্সবাজারের একরামের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। যা যা অভিযোগ আসছে, সেই বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকারই তদন্তের বিষয়ে যথেষ্ট। অন্য কারও মাথা ঘামানোর দরকার নেই। শেখ হাসিনা অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেন না, তিনি বারবার বলেছেন, এ অভিযানে যেন কোনো নিরীহ মানুষ শিকার না হন। নিরীহ মানুষ শিকার হলে দোষী ব্যক্তিরা রেহাই পাবে না। তাদেরও বিচার হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আটঘাট বেঁধে নেমেছি।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হয়েছে নিয়ম অনুযায়ী। এখন বিএনপি না এলে সময় স্রোত তো অপেক্ষা করবে না। সংবিধান ও গণতন্ত্র কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। ৫ জানুয়ারির ভুলের পুনরাবৃত্তি হলে ভুলের মাশুল বিএনপিকেই দিতে হবে।

এ সময় দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদে ফেলার খোয়াব দেখে লাভ নেই। বিএনপি না এলেও তারা ছাড়া বাকি সব নিবন্ধিত দলই আসবে। নিবন্ধিত দল তো ৩৭টি আছে। একটি গেলে আরও ৩৬টি থাকবে। কোনো অসুবিধা আছে?’ তিনি আরও বলেন, বিএনপি ছাড়া সব নিবন্ধিত দলই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই ৫ জানুয়ারির মতো আগামী নির্বাচনও বিএনপির জন্য থেমে থাকবে না।

পরিবেশের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের পরিবেশ যে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, তা নিয়ে রাজনীতিবিদেরা কোনো কথা বলছেন না। তাঁরা দূষণ, ভেজাল, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেন না। সবাই তত্ত্বকথা বলেন। রাজনীতির নানা তত্ত্ব তাঁরা বলে বেড়াচ্ছেন—সরকার খারাপ, দেশ খারাপ। দেশ আজকে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে, পরমাণু ক্লাবে যুক্ত হয়েছে, এর কোনো সুনাম নেই।

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। সেমিনারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজা খাতুন, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জামান।