কোটাঁদপুর বলুহর বাঁওড়ে দুর্নীতি, অনিয়ম ও লুটপাটের মহাৎসব চলছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ | ২০৭

ঝিনাইদহের কোটাঁদপুর বলুহর বাঁওড়ে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে মাছ ধরা শুরু থেকেই দুর্নীতি, অনিয়ম ও লুটপাটের উৎসব চলছে। মাছ শিকারের লক্ষ্যমাত্রা ২০০টন নির্ধারিত থাকলেও তা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বাঁওড় ম্যানেজারের বিরুদ্ধে লুটপাট ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় শান্তি হালদারকে দিয়ে বাঁওড় পাড়ের স্থানীয় নিরীহ বাসিন্দাদের নামে তিনি হয়নারিমূলক মামলা দায়ের করিয়েছেন।

অসহায় মানুষগুলো উপায় না পেয়ে পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। জনগণের নামে মামলা হওয়ায় স্থানীয় এমপি নবী নেওয়াজ বিষয়টি বাঁওড় ম্যানেজারকে জানিয়ে নিষেধ করলেও তার কথা শোনা হয়নি বলে জানা গেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা গেছে, বাঁওড় ম্যানেজার সিদ্দিকুজ্জামান ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর বলুহর বাঁওড়ে যোগদানের পর থেকে নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বাঁওড়ের এমন কোন খাত নেই যে তিনি দুর্নীতি করেন না। তার কারনেই বাঁওড়ের অধিকাংশ মাছ লুটপাট হয়ে যায়।

প্রতি অর্থ বছরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে মাছ শিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করার কথা। কিন্তু তিনি এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছামত মাছ ফিশিংয়ের কাজ করে থাকেন। তার অনুগত হালদারদের নিয়ে মাছ ফিশিং করেন। এসব হালদারদের খাওয়া মাছ দেওয়ার নামে প্রায় প্রতিজনের ১ মণ থেকে ২ মণ মাছ দিয়ে থাকেন।

পরে এসব মানুষ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে বাঁওড় ম্যানেজার টাকা ভাগাভাগি করে নেন বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। বিধি অনুযায়ী বাওড়ের মাছ স্থানীয় জনসাধারণের কাছে ৩০% সরকারি দামে বিক্রির কথা থাকলেও তা বিক্রি করা হয় না। বাওড় ম্যানেজার সিদ্দিকুজ্জামান জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এই বাঁওড়ে মাছ উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ টন। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা করছি। গত অর্থবছরে বাঁওড়ের পানি খারাপ হয়ে যাওয়ায় অনেক মাছ মারা যায়। এই জন্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। আর এখানে কোন অনিয়ম দুর্নীতি হচ্ছে না।

 

জাহিদুর রহমান তারিক/এইচএইচ