প্রধান উপদেষ্টাকে এফআইডিএইচ সভাপতি

তরুণরা পরিবর্তনের এক প্রবল তৃষ্ণা দেখাচ্ছে

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৮ পিএম, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫ | ৮৪

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে গতকাল ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটসের (এফআইডিএইচ) সভাপতি অ্যালিস মগওয়ে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দুজনের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় ভূমিকা রাখায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি।

এফআইডিএইচ সভাপতি গত ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের সময় গুম ও বিরোধী মত দমনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে আশাব্যঞ্জক হিসেবে দেখেন। মগওয়ে বলেন, ‘তরুণরা পরিবর্তনের এক প্রবল তৃষ্ণা দেখাচ্ছে। বাংলাদেশ সবসময় আমার চিন্তায় থাকে। আমি প্রতিদিন সকালবেলার প্রার্থনায় দেশটিকে স্মরণ করি।’

প্রধান উপদেষ্টা মগওয়ের সফরের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘দেশের এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় সম্পৃক্ততা অত্যন্ত প্রয়োজন। গত মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আমি বহু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আমি তাদের সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি বাংলাদেশে আসতে, কারণ দেশটি এখন এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় অতিক্রম করছে।’

গাজার চলমান মানবিক সংকটও আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। অ্যালিস মগওয়ে জানান, গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াতে এফআইডিএইচ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। তিনি গাজা ইস্যুতে প্রফেসর ইউনূসের অবিচল সংহতির প্রশংসা করেন। মগওয়ে বলেন, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আপনি ও আপনার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছেন।’

বৈঠকে মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সিনিয়র গবেষক তাসকিন ফাহমিনা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টার থ্রি জিরো তত্ত্বে মুগ্ধ আইসেস্কো মহাপরিচালক: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গতকাল ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের (আইসেস্কো) মহাপরিচালক ড. সালিম এম আল মালিক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকে ড. আল মালিক বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস ও তার বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারকারী উদ্যোগগুলোর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন চিকিৎসাশাস্ত্রের ছাত্র, স্নাতক শেষের পথে, তখনই প্রথম আপনার ও গ্রামীণ ব্যাংকের কথা শুনেছিলাম। আপনার থ্রি জিরো তত্ত্ব তখন ব্যাংকিং থেকে খেলাধুলা, এমনকি পরিবেশ বৈঠক পর্যন্ত সর্বত্র আলোচিত ছিল। সেটি ছিল সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।’

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করে আইসেস্কো মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশে আসার পর আমি বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছি এবং সংস্কার কর্মসূচি সম্পর্কে জেনেছি। আপনাদের উদ্যোগের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’

সুত্র:বণিক বার্তা