দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর যমুনা রেল সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ১০৫

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর যমুনা রেল সেতু দিয়ে  যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলো৷ রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্ক সিটি ট্রেনটি বুধবার ১১ টা ২০ মিনিটে সেতুর সিরাজগঞ্জ প্রান্ত থেকে ১১ টা ৩০ মিনিটে টাঙ্গাইল প্রান্তে আসে। এছাড়াও বুড়িমারী এক্সপ্রেস ১১ টা ৩৮ মিনিটে টাঙ্গাইল প্রান্ত ত্যাগ করে। 

ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে খুশি ট্রেনের যাত্রীরা। স্টেশন মাস্টার জানিয়েছে, ১২০ কিলোমিটার গতির ধারণ ক্ষমতা থাকলেও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলছে। এর ফলে আজ বুৃধবার থেকে যমুনা সেতু দিয়ে আর ট্রেন চলাচল করবে না৷ 

জাপান-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের তত্বাবধানে যমুনা নদীর উপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে সেতুর অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ শেষে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল সম্পন্ন হয়েছে। সেতুটি চালুর পর উভয়প্রান্তের স্টেশনে রেল ক্রচিং এর সময় বাঁচানোর পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যেও আরও গতি ফিরবে। 

যমুনা রেল সেতুতে প্রথম যাতায়াত করে খুশি রেল যাত্রীরা।

ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন মাস্টার শাহীন মিয়া বলেন, ১২০ কিলোমিটার গতির ধারণ ক্ষমতা থাকলেও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলছে। অনুমতি পেলে গতি আরো বাড়ানো হবে।

যমুনা রেল সেতুর জন্য উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকা রেল যোগাযোগের নতুন মাইলফলক উন্মোচিত হবে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সেতুটির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। এরপর ২০২১ সালের মার্চে রেল সেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা নির্ধারিত হলেও পরবর্তীতে তা ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় উন্নীত হয়। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশিয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।