লেবাননের যুদ্ধ বিরতি সিদ্ধান্তে সমর্থন ইরানের

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৮ পিএম, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | ৫৬

ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে লেবাননের যে কোনো সিদ্ধান্তকে ইরান সমর্থন দিবে। গতকাল শুক্রবার বৈরত সফরে এই মন্তব্য করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা আলি লারিজানি।

গত বছরের ৭ অক্টোবরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকেই বার্তা সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার লেবানন পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরির কাছে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়া প্রস্তাব দেন লেবাননে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।

লেবাননে তেল আবিবের আগ্রাসনের মাত্রা ব্যাপক জোরদারের মধ্যেই তেহরানের পক্ষ থেকে যুদ্ধ বন্ধের এই ইশারা দেয়া হলো।

বৈরুত থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে নাবিহ বেরিরকে ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে সমর্থন দেয়া হয়েছে। এই খসড়া প্রস্তাবটি ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যকার যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রথম লিখিত প্রস্তাব। যদিও এই প্রস্তাবে কি আছে তার বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।

লেবাননের স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর লারিজানি বলেন, স্পিকার তাকে খসড়া প্রস্তাব সম্পর্কে ভালোভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ‘তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের লাগাম টেনে ধরতে আসেন নি। তিনি বরং লেবাননের সিদ্ধান্তকেই সমর্থন দিবেন। যে কোনো পরিস্থিতিতেই আমরা লেবানন সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাব।’

যুদ্ধ বিরতির এই আলোচনার মধ্যেও লেবাননে ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। শুক্রবার রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির একাধিক ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি যুদ্ধ বিমান। এতে বেশ কয়েক জন হতাহত হয়েছেন।

ঘটনাস্থল থেকে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে এবং ভবনগুলো ধসে পড়ছে। দাহিয়েহ ও তাইয়ুনেহ এলাকাসহ অন্যান্য এলাকায় বড় ধরনের হামলা চালানো হয়েছে।

এক্সে পোস্টকৃত এক বিবৃতিতে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, বৈরুতের দাহিয়েহ সেকশনে ‘বেসামরিক জনগণের মধ্যে লুকিয়ে থাকা’ হিজবুল্লাহদের ধংস করার জন্য ইসরাইলি গোয়েন্দাদের নির্দেশে বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমানগুলো শুক্রবার দুই দফা হামলা চালিয়েছে।

গত বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাত চলছে। তবে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে লেবাননে হামলা জোরদার করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।

তবে হিজবুল্লাহও পাল্টা আঘাত হানছে। লেবাননে যুদ্ধরত ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সদস্যদের হত্যার পাশাপাশি ইসরাইলের বেশ গভীরে সামরিক ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক মিসাইল দিয়ে হামলা চালাচ্ছে শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

 

facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
whatsapp sharing button