টাঙ্গাইলে বেড়েছে সামুদ্রিক মাছের চাহিদা 

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৫০৫
ফাইল ছবি

আমাদের দেশের মানুষ মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছ-ভাত ছাড়া একদিনও চলে না। নদী-নালা,খাল-বিল ও বিভিন্ন জলাশয় থেকে আহরিত মিঠা পানির দেশী মাছের পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছেরও বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে।সামুদ্রিক বা মিঠা পানির মাছ উভয়ই মানব দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির চাহিদার যোগান দেয়। তবে এই দুই প্রকার মাছের মধ্যেও পুষ্টির অনুপাতে তারতম্য লক্ষ্য করা যায়।  উপকূল অঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি সারাদেশের মানুষই এখন সামুদ্রিক মাছ খেতে পছন্দ করে। তেমনিই টাঙ্গাইলেও সামুদ্রিক মাছের বেশ কদর রয়েছে। দিন দিন টাঙ্গাইলে সামুদ্রিক মাছের চাহিদা বেড়েই চলছে। 

শহরের বিভিন্ন মাছের বাজার,বিভিন্ন সুপার সপ এবং জায়ান্ট ফিশ মার্ট,সদাইখানা,টাঙ্গাইল সী ফিশ নামের অনলাইন প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিনই সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে ইলিশ,রূপচাঁদা, পোয়া, ছুরি, বাইলা, বাটা চাপিলা, কলম্বো, বাটার ফ্লাই, টেংরা, গ্যানগেনি, মলা,পুটি,লইট্টা, কোরাল, চেলা, টুনা, স্যালমন, সুরমা বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়িসহ প্রায় ৩৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হচ্ছে।

সামুদ্রিক মাছ উপকারী চর্বি, ভিটামিন ডি ও আয়োডিনের চমৎকার উৎস, যা দেহের হাড়, মস্তিষ্ক ও থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের সুস্থতায় অত্যন্ত কার্যকর। কড লিভার অয়েল ভিটামিন ডি এর ভালো উৎস। আরও আছে হৃদ্বান্ধব ফ্যাট ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। সামুদ্রিক মাছে উপস্থিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের জন্য উপকারী। এটি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। শিশু-কিশোরদের মানসিক ও শরীরিক গঠনে ভূমিকা পালন করে সামুদ্রিক মাছ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কিছু অংশের ক্ষমতা বাড়ায়, যেটি স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ডিমনেশিয়া বা অ্যালজাইমারের মত রোগ প্রতিরোধ করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে দুদিন সামুদ্রিক মাছ খায়, তাদের হৃদরোগের আশঙ্কা ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এ ছাড়া ওমেগা ৩ বিষণœতাসহ বিভিন্ন মানসিক রোগের জন্য বেশ কার্যকর। শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের খুব ভালো উৎস সামুদ্রিক মাছ। সামুদ্রিক মাছে ২ ধরনের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। ইপিএ ও ডিএইচএ। এই ২ প্রকার ফ্যাটি অ্যাসিডের কোনোটাই মানব দেহে উৎপাদন করতে পারে না। কাজেই খাদ্যের মাধ্যমে এই ২ ধরনের ফ্যাটি এসিড গ্রহণ করতে হবে। ১০০ গ্রাম সামুদ্রিক মাছ থেকে ৪২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। আয়োডিন, সেলেনিয়াম, জিংক ও পটাশিয়ামসহ অনেক অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান থাকে।

টাঙ্গাইল জেলা মৎস্য অফিসের হিসাব অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন ছিল ৫৯ হাজার ৯১২ টন। ২০২২-২৩ বছর উৎপাদন হয়েছিল ৬৩ হাজার ৭৮২ দশমিক শূন্য ২ টন। বার্ষিক চাহিদা ছিল ৮৭ হাজার ৭১১ টন। সে হিসাবে চাহিদার তুলনায় মাছ উৎপাদন হয়েছিল ৭২ দশমিক ৭২ শতাংশ। গত বছর মাছের ঘাটতি ছিল ২৭ শতাংশের বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন ৬৯.২৭ হাজার মেট্রিক টন। গতবছরের তুলনায় উৎপাদন বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি। উৎপাদন বাড়লেও মাছের চাহিদাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৬.৭১ হাজার মেট্রিক টন। এর ফলে মাছের ঘাটতি রয়েছে ৩৭.৪৪ মেট্রিক টন। 

জেলা প্রায় ৪০ লক্ষ ওপরে মানুষের বাস। শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্ক মিলে একজন মানুষের গড়ে প্রতিদিনে মাছের চাহিদা ৬৩ গ্রাম। সেই হিসেবে একজন মানুষের প্রতিবছর মাছের চাহিদা প্রায় ২২কেজি। ফলে সারা বছরই মাছের ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে এই টাঙ্গাইলে। 

টাঙ্গাইলে বিভিন্ন অনলাইনে বড় মাছের মধ্যে দেশি রূপচাঁদা ১১০০-১৫০০ টাকা কেজি সাইজ অনুযায়ী, ইমপোর্ট রূপচাঁদা ৬০০-৯০০ টাকা কেজি, ,লবস্টার ১৮০০-২০০০ টাকা কেজি, ইন্ডিয়ান স্যালমন ৮০০ টাকা কেজি ,লাল কোরাল ৭৯০ কেজি,সাদা কোরাল ৭০০ টাকা কেজি,কালো কোরাল ৫০০ টাকা কেজি,কিং ফিশ-কিং সুরমা ৭৫০-৮৫০ টাকা কেজি, ,গলদা চিংড়ি সাইজ অনুযায়ী ১০০০-১৩০০ টাকা কেজি, টুনা ৩৫০-৫০০ টাকা কেজি,কাকিলা, বাইম, রিটা,লাক্ষা,পাঙ্গাশ, মারলিন ৪০০-৬০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ছোট মাছের মধ্যে লাল পোয়া-রূপবান পোয়া  ৪৫০-৫৫০ টাকা কেজি,ম্যাক্রেল বা নারকেলি ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি,সামুদ্রিক বাইলা, ছুরি মাছ, বাটা মাছ, চাপিলা,লইট্যা,বাটার ফ্লাই, টেংরা, গ্যানগেনি, মলা,পুটির দাম ৩০০-৫০০ টাকা এর মধ্যে সাইজ ও কেজি অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে।

স্বপ্ন ডির্পাটমেন্টাল স্টোরে প্রতি পিছ সামুদ্রিক ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫২০ টাকা ,লাল চিংড়ি ৭৯০,সাদা চিংড়ি ১২৭০ টাকা কেজি,রুপ চাঁদা ১৫০০-১৬০০ টাকা কেজি, কোরাল ৮৪০ টাকা কেজি, স্যালমন ৭৮০ টাকা কেজি, সুন্দরী পোয়া ৪৫০ টাকা। কিন্তু শহরের মাছের বাজারগুলোতে মাছের আকার ভেদে দামের কিছুটা তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে।

জেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা যায়, জেলায় ৩৬ হাজার ৪২৮ জন মৎস্য চাষী রয়েছে। জেলায় বাণিজ্যিক মৎস্য খামার রয়েছে ১৬৬টি। ৩ হাজার ৩৩২ জন মৎসজীবী ইলিশ মাছ ধরে থাকেন।  বর্তমানে টাঙ্গাইলে পুকুর ও দিঘী রয়েছে ৪১ হাজার ৬৩৩টি, প¬াবনভূমি রয়েছে ২৯২টি, বিল রয়েছে ২৭৭টি, নদী রয়েছে ১১টি, খাল রয়েছে ১১২টি,বরোপিটের সংখ্যা ১২২টি। মোট ৫৬ হাজার ৪৭৮.৬ বর্গকিলোমিটারে মাছ উৎপাদন হচ্ছে ৬৯.২৭ হাজার মেট্রিক টন । 

অপরদিকে মৎসজীবী রয়েছে ১৮ হাজার ২৯০ জন,মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি রয়েছে ৭৮টি। জেলায় মোট মৎসচাষী সমিতির সংখ্যা রয়েছে ১৭৩টি। এ ছাড়া জেলায় ৩২টি বরফ কল, ৮টি মৎস্য অভয়াশ্রম রয়েছে। সরকারিভাবে মৎস হ্যাচারী রয়েছে ১টি এবং ৭৭টি জলাশয়ে পোনা অবমুক্ত করা হয়।

জায়ান্ট ফিশ মার্ট এর সত্ত্বাধকিারী আহাদ বলেন, টাঙ্গাইলে এখন সামুদ্রিক মাছের চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ডাক্তার যে সমস্ত রোগীদের পরামর্শ দেন তারাই বেশি অর্ডার করেন। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চাল,চট্রগ্রামের লোকজন টাঙ্গাইলে চাকুরি কারণে বসবাস করে তারা প্রতিনিয়তই  অর্ডার করেন। আমাদের কাছে রূপচাঁদা কোরাল,স্যালমন, সুরমা, টুনা, পোয়া, ছুরি, বাইলা, বাটা চাপিলা, বাটার ফ্লাই, টেংরা, গ্যানগেনি, মলা,পুটির লইট্টা, চেলা, বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়িসহ প্রায় ৩৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের অর্ডার নিয়ে থাকি। এছাড়া সামুদ্রিক কাকড়া,অক্টোপাস,স্কুইড, ডরি ফিশ বিক্রি করা হয়। 

টাঙ্গাইল পার্ক বাজারে মোতালেব হোসেন রানা,সমুন এবং কোহিনুর বেপারী দেশীয় মাছের পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছের আরতৎদার। আব্দুল্লাহ এন্টারপ্রাইজ এর প্রোপাইটার মো: মোতালেব হোসেন রানা বলেন, এই টাঙ্গাইলে আগে একদমই সামুদ্রিক মাছ চলত না কিন্তু এখন প্রচুর পরিমাণে সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হচ্ছে। আমি প্রতি মাসে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার সামুদ্রিক মাছ পাইকারি বিক্রি করি। বাজার ওঠা নামার কারণে প্রতিদিনই বিভিন্ন দামে মাছ বিক্রি হয়। বেশি মাছ বিক্রি হয় কলোম্ব । এই মাছ যদি ঠিকমত আমদানি করা যেতে তাহলে মানুষ আর ইলিশ খেত না,খুব সুস্বাদু খেতে। ছোট মাছ গুলোই বেশি চলে পুঁটি,বাটা,কলম্বো,পোয়া,কাওয়া,পাতা কাওয়া,চাপিলা,আইলা,ছেকা,আইলা,চাঁন্দা,টুনা,লইট্রা মাছ।

চট্রগ্রামের নিউট্রেশন ইন্টারন্যাশনালের ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর মো.আখতারুজ্জামান বলেন,সামুদ্রিক মাছ আমিষের খুব ভাল উৎস, এতে ক্যালরি কম থাকায় দ্রুত পরিপাক হতে পারে। সেলেনিয়াম হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস তাই ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবেও কাজ করে। তবে সামুদ্রিক মাছে ক্ষতিকর মার্কারি পাওয়া গেছে যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। সাম্প্রতিক গবেষনায় সামুদ্রিক মাছে মাইক্রো প্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া যা মানুষের বিশেষ করে শিশুদের ব্রেন, হার্ট ও কিডনির নরমাল ফাংশনে বাঁধা গ্রস্ত করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়।

তবে দেশি মিঠা পানির মাছ যা পুকুরে চাষ করা হয় যেমন রুই, পাতলা, পাঙাস, তেলাপিয়া, শিং, মাগুর ইত্যাদি মাছে অধিক পরিমান ভারী ধাতু যেমন লেড, ক্রোমিয়াম পাওয়া যায় যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব হেবি মেটাল মাছের খাদ্য থেকে আসে যা বিভিন্ন ফিশ ফিড কারখানাতে তৈরি করা হয় বিভিন্ন বর্জ্য বিশেষ করে চামড়া শিল্পের বর্জ্য থেকে প্রস্তত করার কারণে তা মাছের খাবারে প্রবেশ করে এবং মৎস চাষীরাও দ্রুত বর্ধনশীল করার জন্য এসব ফিশ ফিড ব্যবহার করে থাকে।

তিনি আরও বলেন,অবশ্যই সামুদ্রিক এবং মিঠা পানির মাছের স্বাদের পার্থক্য আছে, স্বাদের পরিবর্তনের জন্য মাছ গ্রহনের তালিকাও পরিবর্তিত হয়। এছাড়াও বর্তমান বৈশ্বিক জলবায়ুর তারতম্যের কারণে নদী নালা খাল বিল এ পানির পরিমান কমে যাচ্ছে। বৈশ্বিক এই উষ্ণতাকে বলা হয় এল নিনো। স্বভাবতই উষ্ণতা ও খরা বেশি হলে পানির উৎস কমে যাবে ফলে মাছের উৎপাদন ও প্রজনন কম হবে এতে করে মাছের বাজারমূল্যও বৃদ্ধি পাবে। ফলে একটা সময় সামুদ্রিক মাছে নির্ভরশীলতা বাড়তে পারে। 

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. আজিজুল হক বলেন, বিভিন্ন রকম দেশীয় মাছের যে বৈচিত্র্য আমাদের বাংলাদেশে আছে সারা দুনিয়ার অন্য কোথাও তা পাওয়া যাবেনা। কিন্তু, জলবায়ুর পরিবর্তন ও মানুষের দ্বারা নদী নালা, খাল-বিলসহ সব ধরনের জলাশয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করার কারণে আমাদের এই সুযোগ আমরা নিজেরাই নষ্ট করছি প্রতিনিয়ত। এই জন্যই অচিরেই এমন সময় আসবে যখন উন্নত দেশগুলোর মতো আমাদেরও সামুদ্রিক মাছের উপর নির্ভরতা ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবেনা।

তিনি আর বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে, প্রাণীজ প্রোটিনের সব চেয়ে নিরাপদ উৎস সামুদ্রিক মাছ। সামুদ্রিক মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করে। কার্ডিওভাসকুলার রোগ (সিভিডি) ও ক্যান্সার প্রতিরোধেও এ মাছের ভুমিকা অনস্বীকার্য। সামুদ্রিক খাবার খাওয়া ভ্রূণ উন্নত হওয়া, শিশুদের মেধার বিকাশসহ বেশ কয়েকটি রোগ এবং চিকিৎসার পূর্বশর্ত।  সামুদ্রিক মাছের পুষ্টি উপাদান মূলত দীর্ঘ-চেইন এন -৩ পলিউনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (এন -৩ পিইউএফএ), অ্যাসিড (ইপিএ) এবং ডকোসাহেক্সেনইওিক অ্যাসিড (ডিএইচএ)। এসব পুষ্টিগুণ শিশুর মেধা বিকাশ ও রোগ প্রতিরোধে পরিপূর্ণ সাহায্য করে।

টাঙ্গাইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজদ বলেন, টাঙ্গাইলে মৎস্য উৎপাদন ৬৯.২৭ হাজার মেট্রিক টন। টাঙ্গাইলে মাছের চাহিদা ১০৬.৭১ হাজার মেট্রিক টন। ঘাটতি রয়েছে ৩৭.৪৪ মেট্রিক টন। মাছের উৎপাদন বেড়েছে কিন্তু মাছের ঘাটতি থাকার কারণ হল ২০২২ সালের আদম শুমারি অনুয়ায়ী টাঙ্গাইলে জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে। ঘাটতি থাকলেও মানুষ মাছ পাচ্ছে নিয়মিতই। ইলিশ, সামুদ্রিক মাছ, ঘেরের চিংড়িসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মাছ যেমন টাঙ্গাইলে আসে তেমনি টাঙ্গাইল এর খাল বিল নদীর মাছ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাজারে যাচ্ছে।  

টাঙ্গাইলে মাছের চাহিদা ঘাটতির পূরণের বিষয়ে বলেন, মাছের ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার নির্ধারিত কার্যক্রম যেমন পরামর্শ প্রদান, পানি পরীক্ষা, জলাশয় ক্ষনন, মৎস্য আইন বাস্তবায়ন, প্রশিক্ষণ প্রদান, বিল নার্সারী বাস্তবায়ন, মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়াও কর্মকর্তাগণ নিজ উদ্যোগে বিল ও প্লাবনভূমিতে মাছ চাষের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে।