হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সর্তক অবস্থানে

টাঙ্গাইলে সর্বত্র রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২৩ পিএম, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪ | ৪৭
পুরো টাঙ্গাইল জেলা জুড়ে চলছে রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ আতঙ্ক। অনেকে জেলা শহর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাপ দেখা গিয়েছে বলে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। আবার সেই পোষ্টটি মিথ্যা বা গুজব বলে নতুন পোষ্ট দিচ্ছেন। অথচ এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য বা রাসেলস ভাইপার সাপ পাওয়া গেছে বা উদ্ধার হয়েছে এমন কোন তথ্য জানা যায়নি।
 
এদিকে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপে আতংকিত না হয়ে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। এ বিষয়ে জেলার সকল হাসপাতালগুলো সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
 
বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌর শহরের সাবালিয়া পাঞ্জাপাড়ায় শনিবার (২২ জুন) সকালে বিষধর সাপের দেখা মিলে। পরে সেটিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। টাঙ্গাইল জজ কোর্টের সাবেক জিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদের বাসার গেটে পাওয়া যায় এ সাপটি। অনেকে এটিকে রাসেলস ভাইপার সাপ বলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিসহ পোস্ট করেন। 
 
অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ জানান, শহরে শনিবার (২২ জুন) সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। আমি বাসার নিচে চেম্বারে বসে কাজ করছিলাম। বৃষ্টির মধ্যে বেলা সাড়ে ১১ টায় আমার বাসার এক ভাড়াটিয়া বাইরে যাওয়ার সময় দেখেন একটি সাপ গেট পেরিয়ে বাসার ভিতরে প্রবেশ করছে। তখন তিনি ডাকাডাকি করলে আমার চেম্বারের লোকজন গিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন। এরপর থেকে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে রাসেলস ভাইপার সাপ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। 
 
তিনি আরও বলেন, সাপ যেহেতু একসাথে অনেকগুলো বাচ্চা দেয়। সেহেতু বাসার আশেপাশে আরো সাপ থাকতে পারে। আমাদের এই মহল্লায় সাপ নিধনে দ্রুত অভিযান চালানো জরুরি।
 
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান জানান, আমরা মূলত বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করি। বর্তমানে সারাদেশে রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি জানলাম। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।
 
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা: মিনহাজ উদ্দিন মিয়া বলেন, রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপে আতংকিত না হয়ে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে। সাপে কাটা রোগীদের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় ১০টি করে অ্যান্টিভেনম ডোজ এবং জেলায় ১০০টি ডোজ সংরক্ষিত আছে। প্রয়োজনে এর পরিমাণ আরো বাড়ানো হবে। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। 
 
তিনি আরও বলেন, শুনেছি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় একজনকে সাপে কামড় দেয়। পরে দেরিতে হাসপাতালে আনা হলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেলে তাকে রেফার্ড করা হয়। পরে সেখানে তিনি মারা যান। এছাড়া টাঙ্গাইলে আর কাউকে সাপে কাটার খবর পাওয়া যায়নি।