শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো ফুলের জায়গা হল না একঘন্টাও

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৩ পিএম, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | ৬৪

টাঙ্গাইল শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতিশ্রদ্ধা জানানো ফুলের তোড়া ও পুষ্পস্তবক ১ ঘন্টার মধ্যেই শহীদ মিনারের বেদী থেকে পৌরসভা সরিয়ে ফেলায় জেলায় মুক্তিযুদ্ধা ও সকলস্তরে মানুষের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে।

অপরদিকে পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর পৌরসভার এমন কর্মকান্ডের জন্য নিজের দোষ স্বীকার করেন। 

জানা যায়, বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি’র) প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয় এমপি ও বিভিন্ন সরকারি-বেসকারি সংস্থা, রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এবং বিভিন্ন সংগঠন টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা শুরু করে।

পর্যায়ক্রমে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি’র) বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে শহীদ বেদীতে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো কার্যক্রম।

কিন্তু দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইল পৌরসভার ময়লার গাড়ি এসে শহীদ মিনারের পাশে দাঁড়ায়। এ সময় পৌরসভার কতিপয় কর্মচারীরা গণমানুষের দেয়া শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুলের তোড়া শহীদ বেদী থেকে তুলতে থাকে। ফুলের তোড়াগুলো তুলে তারা পৌরসভার ময়লার গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

এবিষয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারাসহ নাগরিক সমাজের লোকজন।

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন, যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। মহান ভাষা আন্দোলনে আমরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি। কিন্তু টাঙ্গাইল পৌরসভা এমন অবিবেচক হলো কিভাবে, সকাল ১১টা পর্যন্ত তো নানা শ্রেণির মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে। তাহলে ১২ টার মধ্যেই নিতে হবে।এটি কি বিকেলে নিলে চলতো না। এটি তো মানুষের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে।

এতে করে শহীদদের প্রতি চরম অবমাননা করেছেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র। রাজনৈতিক দলের একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে মেয়র কিভাবে এমন অন্যায় কাজ করতে পারেন।

এমন অভিযোগের বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সিরাজুল হক আলমগীর  বলেন এটা আমার ভুল হয়েছে। বরাবরের মত এবারও আমার লোকজন এটি করে ভুল করেছে। তারা মনে করেছে সেখানে বিকেলে অনুষ্ঠান হবে। কিন্ত তারা জানেনা যে অনুষ্ঠান শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে হবে। আমার বলার সময় ছিল না।যাই হক আমার এটি গাফিলতির কারনে হয়েছে।