৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে টাঙ্গাইলের ৩৩ কিশোর পেল সাইকেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:২০ পিএম, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩ | ১২৮

শিশু-কিশোরদের নামাজে আকৃষ্ট করতে বাইসাইকেল পুরষ্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন মসজিদের ইমাম। ঘোষণায় আকৃষ্ট হয়ে টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরষ্কার জিতে নিয়েছে টাঙ্গাইল পৌর শহরের আদি টাঙ্গাইল ছাপড়া মসজিদ এলাকার ৩৩জন কিশোর।

 শিশু-কিশোরদেরকে নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করে মসজিদ মুখি করার লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ সামাজিক-যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। আদি টাঙ্গাইল বায়তুল আমান জামে মসজিদের উদ্যোগে এই আয়োজনকে এলাকার সবাই স্বাগত জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে আদি টাঙ্গাইল বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মোহাম্মদ ইসমাইল হোসাইনের উদ্যোগে ওই মসজিদের পরিচালনা কমিটি এ আয়োজন করে।

জানা যায়, কয়েকদিন আগে মসজিদের ইমাম ঘোষণা দিয়েছিলেন যে ১৫ বছরের কম বয়সের কিশোররা যদি একটানা ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সাথে নামাজ আদায় করে, তাহলে তাদের একটি করে বাইসাইকেল পুরষ্কার দেওয়া হবে। 

নামাজে অংশ নেয়া কিশোর রুলীন রাহাত, শিমরোজ হাসান শিহাদ, সাবিদ হোসেনসহ অনেকেই জানায়, শুধুমাত্র পুরষ্কারের জন্য নয়, বরং মহান আল্লাহকে সন্তষ্ট করতেই নামাজ আদায় করেছে তারা। তবে পুরষ্কারের ঘোষণা দেয়ায় নামাজের প্রতি আগ্রহটা আরও বেড়ে যায়। আমরা ধারাবাহিকভাবে নামাজ আদায় করবো বলেও জানায় তারা। 

মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন বলেন,মূলত কিশোরদের নামাজের প্রতি আগ্রহ এবং নামাজ শুদ্ধ করে শিখতে পারে সেই উদ্দেশ্যে এই টানা ৪০ দিন জামাতের সাথে নামাজ পড়ার ঘোষণা। ঘোষনার পর থেকে প্রায় ৭০ জনকিশোর মসজিদে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা শুরু করে। তারা ঠিক মত নামাজ আদায় করছে কিনা হিসাব রাখার জনপ্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর হাজিরা নেয়া হতো। যদি কেউ কোনো ওয়াক্তে অনুপস্থিত থাকতো তখন তার গণনা বন্ধ করে দেয়া হতো। প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে তাদের শুধু নামাজই পড়ানো হয়নি। সঠিকভাবে নামাজ শিক্ষা ও নামাজ সম্পর্কে জরুরি মাসয়ালা ও শেখানো হয়। নামাজের প্রতি মানুষকে আহবানের পাশাপাশি দ্বীনি ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।

পুরষ্কার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা মোসলেম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইছহাক উদ্দিন, কার্যকরী কমিটির সদস্য মুয়াজ্জিন হাফেজ মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।