নদী থেকে ৬৮টি স্বর্ণের বারসহ যুবকের লাশ উদ্ধার

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫৩ এএম, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩ | ৯২

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী মাথাভাঙ্গা নদী থেকে মিরাজুল ইসলাম (২০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে বিজিবি।

এসময় তার শরীরে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় ৬৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম (৮৭৯.৮৮ ভরি)।

মিরাজুল ইসলাম নাস্তিপুর গ্রামের ইয়াছিন আলির ছেলে।

রবিবার (৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী নাস্তিপুর ঘাট এলাকা থেকে বারসহ তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, বারাদী সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান হবে বলে খবর পায় বিজিবি। তখন বারাদী সীমান্তচৌকির (বিওপি) সদস্যরা টহল তৎপরতা জোরদার করেন। বিকেল ৪টার দিকে বিজিবির টহল দলের সদস্যরা খবর পান যে দুজন স্বর্ণ চোরাকারবারি মাথাভাঙ্গা নদী পার হয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

তখন সীমান্তের ২৫ গজ অভ্যন্তরে একজন চোরাকারবারি ডুবে যান এবং অপরজন নদী থেকে উঠে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পালিয়ে যান।

বারাদী সীমান্তচৌকির কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. জাকির হোসেন টহল দল নিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে মিরাজ হোসেনের লাশ উদ্ধার করেন। লাশ উদ্ধারের পর নিহতের শরীরে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় ৬৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলোর ওজন ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম (৮৭৯.৮৮ ভরি) ওজনের ছোট বড় ৬৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে নায়েব সুবেদার জাকির হোসেন বাদী হয়ে উদ্ধার করা স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তসহ পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে