সাঁড়া ফেলেছে ডা.শফিকুল এর আউশের মৌসুমে বোরো ধানের আবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩ | ৩৩০

আউস ধানের মৌসুমে বোরো ধান আবাদ করে সাঁড়া ফেলেছেন ডা. শফিকুল ইসলাম। এ মৌসুমে বোরো ধান আবাদ করে বাম্পার ফলনও পেয়েছেন তিনি। ডা. শফিকুল ইসলাম টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়িবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।

তিনি ভোলা সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। আউশের মৌসুমে বোরো আবাদ করলে একই জমিতে বছরে তিন বার ধান আবাদ করা যায়। অন্যদিকে এ মৌসুমে প্রাকৃতিক দূর্যোগে ধান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা যেমন নেই, তেমনই সেচ ও সারের ব্যবহার কম হওয়ায় খরচ কমিয়ে আনা যায় অর্ধেকে। যে কারণে অধিক লাভবান হয়েছেন ডা. শফিকুল ইসলাম। তার সফলতা দেখে ওই এলাকার অনেক কৃষকই এখন আউসের মৌসুমে বোর ধানের আবাদ শুরু করেছেন।

কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেলে সারাদেশেই এ পদ্ধতিতে ধান চাষ ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব বলে মনে করছেন ডা. শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আউশের মৌসুসে ৪ বছর আগে নিজের ২ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে বোরো ধানের চায়না গোল্ডেন-১ ও দেশীয় ২৮,২৯ ধান চাষ শুরু করেন। আবাদের প্রথম বছরই ব্যাপক সফলতা পান। এরপর থেকে প্রতিবছরই আউশের মৌসুমে বোরো ধান চাষ করে আসছেন তিনি। এ বছর ৬ বিঘা (১৯৮ শতাংশ) জমিতে দেশীয় হাইব্রিট গোল্ডেন-১ চাষ করেছেন তিনি। আউশের মৌসুমে প্রাকৃতিক কোনো দূর্যোগ না থাকায় এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় বোরো ধানের ফলন হয় অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।

অন্যদিকে সেচের পানি আর সারের ব্যবহার কম হওয়ায় ধান চাষে তুলনামূলক খরচের পরিমান নেমে আসে অর্ধেকে। এ পদ্ধতিতে একই জমিতে বছরে তিনবার ধান চাষ করে অধিক লাভবান হয়েছেন তিনি। সারাদেশে এ পদ্ধতিতে ধান চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষক যেমন অধিক লাভবান হবেন, তেমনই খাদ্য শস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ। এমনটা দাবি করেছেন তিনি।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, আউশ মৌসুমে বোরো ধান আবাদ করে সাঁড়া ফেলেছেন ডা. শফিকুল ইসলাম। এক জমিতে বছরে তিন বার ফলনও পেয়েছেন তিনি। উনার দেখাদেখি আমরাও এখন দেশীয় হাইব্রিট গোল্ডেন-১ ধান চাষ করছি। ফলনও খুব ভালো হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, ডা. শফিকুলের পরামর্শে গেল আউশ মৌসুমে ৪ পাখি (১২০ শতাংশ) জমিতে দেশীয় হাইব্রিট গোল্ডেন-১ ধান চাষ করেছিলাম। পাখি প্রতি ৩০ মণ করে ধান পেয়েছি। এছাড়াও বছরে একই জমি তিনবার ধান চাষ করা গেছে। চলতি মৌসুমে আবাদ করেছি। আশা করছি গেল বছরের মত এবারও ভালো ফলন পাবো।মধুপুর উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, আউস মৌসুমে দেশীয় হাইব্রিট গোল্ডেন-১ বোরো ধানের জাত আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছেন ডা. শফিকুল ইসলাম।

চলতি আউশ বোরো মৌসুমেও তিনি এই ধানের জাত আবাদ করে সাঁড়া ফেলেছেন। উনার দেখাদেখি স্থানীয় বেশ কয়েকজন কৃষকও এই ধানের জাত আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছেন।

এ ধানের জাত কে ডা. শফিকুল ইসলাম চায়না গোল্ডেন ১ বলে দাবি করছেন। অন্যান্য জাতের ধানের ফলনের চেয়ে এই জাতের ধানের ফলন বেশি বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল জানান,আউশ মৌসুমে কোন জাতের ধান রোপণ করে সাঁড়া ফেললেন ডা. শফিকুল ইসলাম সেই তথ্য নিতে একজন উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।