শীতকে উপেক্ষা করে

বোরো রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কালিহাতীর কৃষকরা

শুভ্র মজুমদার, কালিহাতী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:৫৪ পিএম, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ | ৫১৬

অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর শীতের প্রকোপ অনেক বেশী। শীতের সকালে পানি সাধারনত অনেক ঠান্ডা থাকে। কিন্তু যতই ঠান্ডা পানি আর যতই শীত হোক, কাজ করতেই হবে।

শীত যেন কৃষকদের শরীরে কাঁটা দিয়ে যায়। তবুও দেশের মানুষের মুখে একমুঠো অন্ন তুলে দিয়ে যেন তুষ্ট থাকতে ভালোবাসেন কৃষকরা। আর তাই শীতের সকালে চোখ মুছতে মুছতে চলে যান মাঠে সোনার ফসল ফলাতে। তাই শীতকে উপেক্ষা করে বোরো চাষে ও রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন টাঙ্গাইলের কালিহাতীর কৃষকরা।

এ উপজেলার কৃষকরা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে কাঙ্খিত ফসলের আশায় বোরো ধান চাষ শুরু করেছেন। গত আমন মৌসুমের শেষের দিকে প্রাকৃতিক দূর্যোগে ধানের ফলনে ব্যাপক ক্ষতি হয়। হতাশাকে দুরে ঠেলে দিয়ে আগের ক্ষতিকে পুষিয়ে নিতে এবার পুরোদমে বোরো ধান চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা।

এবার বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় চাষে বেশী উৎসাহ দেখা যাচ্ছে কৃষকদের মাঝে। উপজেলার ঘুণী, সিলিমপুর, আউলটিয়া, বর্তা, ব্রজগাতী, পালিমা, কুরুয়া, নারান্দিয়া, সল্লা, দূর্গাপুর, গোহালিয়াবাড়ী, দশকিয়া, এলেঙ্গা, সহদেবপুর, বল্লা, রামপুর, কোকডহড়া, নাগবাড়ী, পারখী এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধান চাষ শুরু হয়েছে।

বিদ্যুৎ, তেল, সার সময়মতো সরবরাহ নিশ্চিত করা হলে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। উপজেলার বর্তা গ্রামের কৃষক রনজিত মজুমদার বলেন, গত বছর কয়েক দফায় বন্যার কারনে আমন ধান ঘরে তুলতে পারিনি।

তাই এ বোরো মৌসুমে প্রচুর পরিশ্রম করছি ভালো ফসলের আশায়। এ বছর আমি ৮০ শতাংশ জমিতে বোরো চাষ করছি। এ পর্যন্ত সারের কোন সমস্যা নেই। তবে সারের মূল্য গত বছরের চেয়ে একটু বেশী। কালিহাতী পৌর এলাকার ঘূণী গ্রামের কৃষক শামেস উদ্দিন জানান, আমি ১ একর জমিতে বোরো আবাদ করছি। এ মৌসুমে কামলার দাম মেলা বেশী, ৫শ থেকে ৬শ টেহা পর্যন্ত তাগো বেতন, তারপরেও কামলা পাইনা।

কালিহাতী উপজেলা কৃষি অফিসার এ.এম শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর ১৭ হাজার ৫ শত ৫৯ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।

সারের কোনরকম সমস্যা নেই, চলতি ফেব্রæয়ারী মাসে ১৪’শ ৫১ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার ডিলারদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং ৭’শ ৩০ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার মজুদ আছে।