ভূঞাপুরে রীতিমত জমে উঠেছে ঘাসের বাজার!

স্টার্ফ রিপোটার
প্রকাশিত: ০২:০৪ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১ | ১২৫

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীর চরাঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ফসল আগে থেকেই ভাল উৎপাদন হয়ে থাকে । এবার নতুন করে এ অঞ্চলে  কৃষক  উৎপাদন করছে ঘাস। বিভিন্ন জাতের ঘাস উৎপাদন করে বর্তমানে জীবিকা নির্বাহ করছে  এ চরাঞ্চলের অনেক মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে ভূঞাপুরের যমুনা নদীর তীরে গোবিন্দাসী ঘাটে এ চিত্র দেখা গেছে। ভোর হতে না হতেই ঘাসের স্তুপ দেখা যায় এখানে। বিভিন্ন এলাকার মানুষ আসে ঘাস কিনতে। গরু-ছাগলের খাদ্য হিসেবে পরিচিত এই সকল ঘাস। নেপিয়ার, দূর্বাঘাস, গর্বাঘাসসহ আরও অনেক রকমের ঘাসের স্তুপ দেখা গেছে এ ঘাটে। 

এ ছাড়া বর্তমানে কাঁঠাল পাতাও বিক্রি হচ্ছে এই বাজারে! যমুনার চরাঞ্চলের এ সকল মানুষ বর্তমানে এখান থেকেই আয়ের উৎস বের করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

জানা যায়, প্রতিটি আঁটি আকার ভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। এক আঁটি কাঁঠাল পাতা ৩০ টাকা, দুর্বাঘাস ৭০-৮০ টাকা, গর্বাঘাস ৭০-৮০ টাকা, নেপিয়ার ঘাস প্রকার ভেদে ৩০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

ঘাস বিক্রেতা ফজল শেখ (৬০) জানান, প্রতিদিন এখানে অনেক মানুষ ঘাস কিনতে আসে। আমরা ঘাস বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া ঘাস বিক্রির টাকায় অনেকের ভালো আয়ও হয়।

ঘাস বিক্রি করতে আসা কালিপুর গ্রামের মিজানুর (৩৫) বলেন, চরাঞ্চলে ঘাস চাষ করে প্রতিদিন এখানে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি। যমুনার পানি বাড়ার কারনে ঘাস ডুবে যাওয়ায় একটু চিন্তায় আছি। তবুও সংসার চালাচ্ছি। তাছাড়া সারা বছরই ঘাস চাষ করে সেগুলো বিক্রি করে পরিবারের প্রয়োজন মেটানো যায়।

ঘাস ক্রয় করতে আসা জুরান আলী (৬২) জানান, আমি প্রায়ই আসি এই ঘাসের বাজারে। আজকে তিন আঁটি ঘাস কিনেছি  ৯০ টাকা দিয়ে। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ এখানে ঘাস কিনতে আসে।

ঘাস বহন করা নায়িব (২৭) জানান, আমি ভ্যান নিয়ে প্রতিদিন এখানে চলে আসি। ঘাস পরিবহন করে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছি। চরাঞ্চলে ঘাস চাষ ভালো হয়। তাই সকাল সকাল এখানে ঘাস বহন করতে চলে আসি।

যমুনার তীর ঘেষা এই বাজার একসময় টাটকা মাছের বাজার হিসেবে পরিচিত লাভ করলেও বর্তমানে এটি ঘাস বাজার হিসেবে গরু লালন-পালন কারী মানুষদের কাছে ঘাস বাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ভবিষ্যতে এটি আরও পরিচিতি লাভ করবে বলে আশা ঘাস ক্রেতা ও বিক্রেতাদের।

এ বিষয়ে গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু বলেন, দৈনিক সকালে চরাঞ্চলের অসংখ্য কৃষকরা গোবিন্দাসী ঘাটপাড়ে ঘাস এনে বেচাকেনা করছেন। ক্রেতা-বিক্রিতা বেশি হওয়ায় এখন ওইস্থানটি ঘাসের বাজার হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।