রাষ্ট্রীয় তিন ব্যাংকের স্থগিত হওয়া পরীক্ষা শুক্রবার

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৬ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০১৮ | ৩২৫

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালি, রূপালি ও জনতা ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা নিতে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি। ফলে রাষ্ট্রীয় ওই তিন ব্যাংকের পরীক্ষা নিতে আর বাধা থাকল না। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ আদেশ দেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন খান বলেন, তিন ব্যাংকের বিষয়ে হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছেলন তা তুলে নিয়ে আট ব্যাংকের পরীক্ষা একত্রে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে বিভ্রান্তির সুযোগ নেই, পরীক্ষা যথা সময়েই হবে। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডে ৫২৭টি, জনতা ব্যাংক লিমিটেডে ১৬১টি, রূপালী ব্যাংক লিমিটেডে ২৮৩টি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডে ৩৯টি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ৩৫১টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২৩১টি, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনে ১টি ও ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশে (আইসিবি) ৭০টি পদসহ মোট ১৬৬৩ পদের নিয়োগ পরীক্ষা হবে।

গত রোববার রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষাসহ যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ না করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত বছর দেয়া পৃথক বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে ২০১৭ সালে প্রকাশ করা ওই তিন ব্যাংকের বিভিন্ন পদে নিয়োগসংক্রান্ত ওই বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তির আলোকে পরীক্ষার আগে কেন ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে পরীক্ষা নেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত। বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থসচিব, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

২০১৬ সালের পৃথক বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তিনটি ব্যাংকে বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করা ২৮ প্রার্থী গত বছরের শেষ দিকে ওই রিটটি করেন। রিট আবেদনকারীরা ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ওই তিন ব্যাংকের বিভিন্ন পদের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো পরীক্ষা না নিয়ে ২০১৭ সালে নতুন করে একই পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যার ভিত্তিতে ১২ জানুয়ারি এমসিকিউ পরীক্ষার দিন নির্ধারণ হয়। আবেদনকারীদের দাবি এটি বৈষম্যমূলক।সূত্রঃ মানবকন্ঠ