বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে কলেজ ছাত্রী, প্রেমিক উধাও

টাঙ্গাইলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তিনদিন ধরে অবস্থান করছেন এক কলেজছাত্রী। প্রেমিকা ছাত্রী বাড়িতে যাওয়ায় প্রেমিক ও পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এলাকাবাসীর উদ্যোগে ওই ছাত্রী এখন প্রেমিকের বাড়িতে আর প্রেমিকের ফুপা ময়েজ উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাটি ঘটেছে সখীপুর উপজেলার কালমেঘা গ্রামে। প্রেমিক শাহরিয়ার শুভ ওই গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। প্রেমিকার বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাটাজোর গ্রামে।

অনশনরত ছাত্রী জানান, শাহরিয়ার শুভ ও তার বাবা আমাদের সঙ্গে দু’বার প্রতারণা করেছেন। আমি মান সম্মান বাঁচাতে বাধ্য হয়ে এ বাড়িতে এসেছি। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমি এ বাড়ি থেকে যাবো না। প্রয়োজনে এখানেই মরবো।

ছেলের বাবা আজহার আলী বলেন, আমার স্ত্রী অসুস্থ। স্ত্রীকে নিয়ে আমি ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আছি।

বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য রাহেলা আক্তার বলেন, মেয়েটিকে ছেলেটির ফুপার জিম্মায় আর বাড়িতেই রাখা হয়েছে। ছেলের বাবা-মা বাড়িতে এলেই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিম জানান, ছেলে ও মেয়েটি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার একই কলেজে পড়াশোনা করে। ছয়মাস ধরে গড়ে ওঠে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। মাসখানেক আগে ছেলেটি রাতের বেলায় ওই মেয়েটির বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়। পরে বিয়ের শর্তে ছেলের বাবা মেয়েটির বাড়ি থেকে ছেলেকে ছাড়িয়ে আনেন। দুই পরিবার মিলে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বিয়ের দিন ধার্য করেন। যথারীতি ওইদিন মেয়ের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। ছেলেপক্ষ থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে ১০-১২ জন মেহমান মেয়ের বাড়িতে গেলেও ছেলে আর ছেলের বাবা উপস্থিত না হওয়ায় বিয়ে-রেজিস্ট্রি (কাবিন) হয়নি।

তিনি জানান, গতকাল শনিবার ছেলের বাবা আমাকে ফোন দিয়ে জানান আমার স্ত্রী অসুস্থ। আমি ময়মনসিংহ হাসপাতালে আছি। রোববার বিকেলে আমার স্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ার কথা। এরপর আমি বাড়িতে ফিরে ও আপনাদের সহযোগিতায় এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেব। তবে আজকে অসংখ্যবার তার ফোনে চেষ্টা করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে.এম সাইদুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, সংবাদটি আজকে লোকমুখে শুনেছি। অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।