অর্থনৈতিক কূটনীতির সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ -পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন

নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:৩৭ পিএম, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০ | ২০৫

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এম.পি বলেছেন, বিগত ১১ বছর ধরে আমাদের দেশ গড়ে সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ প্রবৃদ্ধির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অর্থনৈতিক কূটনীতির সফলতার কারনেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।

শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সহযোগে নাটোরের উত্তরা গণভবন ও রাণী ভবানী রাজবাড়ি পরিদর্শন শেষে সার্কিট হাউজে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ মতবিনিময় সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছিলেন নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম ও নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অতিরিক্ত সচিব মোঃ শামসুল হক, মোঃ সাব্বির আহমদ চৌধুরী ও সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এফ এম বোরহান উদ্দিন, খন্দকার মোঃ তালহা, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ তারিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ ও মেহেদী হাসান উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অনুসৃত -সকলের সাথে বন্ধুত্ব-এই পররাষ্ট্র নীতিতে পথ চলছে বাংলাদেশ। সকলের সাথে বৈরীতা পরিহার করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। আমাদের লক্ষ্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে অর্থনৈতিক কূটনীতির সুফল অর্জণ করা। করোনাকালীন স্থবির সময়েও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ থেকে করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসার মেডিকেল সরঞ্জামাদি রপ্তানীর সুযোগ তৈরী হয়েছে। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৮০ লাখ পিপি পাঠানো হয়েছে।

ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, অর্থনৈতিক কূটনীতির সুফল পেতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঁচটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এরমধ্যে রয়েছে-দেশের মানব সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং দক্ষ জনগোষ্ঠির জন্যে বিশ্বের নতুন নতুন দেশে কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, দেশের অপার সম্ভাবনাময় মানব সম্পদ ও প্রাকৃতিক সম্পদসমূহের সহজলভ্যতা বিশ্বের কাছে তুলে ধরে বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা, দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অসামান্য অবদানকে সম্মান দিতে বিদেশে আমাদের মিশনগুলোতে পাসপোর্ট ডেলিভারীসহ প্রযুক্তি নির্ভর সেবার পরিধি দ্রুত ও সহজ করা হচ্ছে। মুজিববর্ষ-২০২০ এবং স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তি-২০২১ কে কেন্দ্র করে বিশ্বের কাছে অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে তুলে ধরা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বের কারনে দেশ দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সর্বাধিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি দারিদ্র বিমোচনেও আমরা অগ্রগামী। ইতোমধ্যে গত ১১ বছরে দেশের দারিদ্রসীমা অর্ধেক হ্রাস পেয়ে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। আগামী পাঁচ বছরে আরো পাঁচ শতাংশ হ্রাস পাবে। পর্যায়ক্রমে দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ উন্নয়নের পথপরিক্রমায় ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর চির কাংখিত সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত হবে।