দেলদুয়ারে ভাই-বোনকে কুপিয়ে জখম,
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাই-বোনকে কুপিয়ে মারাক্তক জখম করেছে তারই চাচাতো ভাই। পূর্বেও একই ঘটনা ঘটালেও পুলিশের কোন তৎপরতা ও সহযোগিতা না পাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে পরিবারটি।
শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ভূক্তভোগী পরিবারটি জানায়, দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়া ইউনিয়নের নাল্লাপাড়া বাজারে মৃত ইসমাইল মিয়ার জমি রয়েছে। সেখানে তার বড় ছেলে মিন্টু মিয়া সীমানাপ্রাচীর তৈরি করলে তারই আপন চাচা নজরুল ইসলামের ছেলে হুমায়ুন ও রিপন মিয়া সেই প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে। পরবর্তীতে তারা সেখানে ঘর নির্মান করলে সেই ঘরও ভেঙ্গে অন্যত্র বিক্রি করে দেয় অভিযুক্তরা।
কর্মসূত্রে মিন্টু মিয়া টাঙ্গাইল শহরে ও তার ছোট ভাই ইরাকে থাকায় দিনদিন অভিযুক্তদের অত্যাচার বাড়তেই থাকে। এরই মাঝে সাত মাস আগে মিন্টু মিয়া গ্রামের বাড়ীতে গেলে তখন তাকে ও তার বোন লাইলী বেগমকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে অভিযুক্তরা। সে সময়েও প্রাণে বেঁচে যান তারা। এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে করোনার অযুহাত দেখিয়ে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে করোনায় নিউ নরমাল ঘোষনার পর আদালত খুললে ভুক্তভোগী পরিবারটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআ্ি)ি তদন্ত করছে।
শুক্রবার মৃত বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করাতে গ্রামের বাড়ীতে যান মিন্টু মিয়ার বোনেরা। বোনেরা সকালেই চলে গেলেও কাজ থাকায় যেতে দেরি হয় মিন্টু মিয়ার। মিন্টু মিয়া বাড়ীর কাছাকাছি পৌছেছে শুনে তাকে এগিয়ে নিতে যায় তারই ছোট বোন চায়না বেগম। এসময় তাদের চাচাতো ভাই রিপন ধারালো চাকু দিয়ে চায়না বেগমের হাতে আঘাত করলে এগিয়ে যায় মিন্টু মিয়া। তখন মিন্টু মিয়াকেও চাকু দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় রিপন।
এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে মিন্টু মিয়ার আত্মীয় স্বজনেরা তাদের সিএনজিতে করে প্রথমে দেলদুয়ার থানায় নিয়ে যায়। এসময় থানা পুলিশের নির্দেশে আহতদের দ্রুত টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়।
হাসপাতালে আনার পরে আহত মিন্টু মিয়া ও চায়না বেগমের শরীরে অস্ত্রপাচার করে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা।
অস্ত্রপাচার শেষে আহত মিন্টু মিয়া ও চায়না বেগম শঙ্কামুক্ত বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। প্রথম ঘটনার পরেই যদি পুলিশ আইনি পদক্ষেপ নিতো তাহলে একই ঘটনার পূনরাবৃত্তি হতো না বলেও দাবি করেছেন তারা। এ ঘটনা দু’টির দৃস্টান্তমূলক শাস্তি ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সহযোগিতা কামরা করেছেন তারা।
আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জি: মো: সিরাজুল ইসলাম মল্লিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তরা খারাপ প্রকৃতির মানুষ। তাদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ, কে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, এ বিষয়ে কোন তথ্য আমার কাছে নেই।