একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ১১৬২,মৃত্যু ১৯

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, বুধবার, ১৩ মে ২০২০ | ১৫০

দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত এবং মৃত্যু দুটোতেই একদিনের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে এক হাজার ১৬২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ। এই সময়ে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৯ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৬৯-এ। আর সব মিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭ হাজার ৮২২ জনে।
 
আজ বুধবার (১৩ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও সাত হাজার ৮৬২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে সাত হাজার ৯০০টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৮টি। এসব নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১টি ল্যাবে।

এই ২৪ ঘণ্টায় আরো ২১৪ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানান নাসিমা সুলতানা। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন হাজার ৩৬১ জন।

মারা যাওয়া ১৯ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও সাত জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা শহরে ১৩ জন, নারায়ণগঞ্জে একজন, মুন্সীগঞ্জে একজন, খুলনা বিভাগে একজন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে তিনজন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে তিনি জানান, মারা যাওয়া ১৯ জনের মধ্যে একটি মেয়েশিশু রয়েছে যার বয়স দশের নিচে। আর অন্যান্যদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে পাঁচজন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সসীমার মধ্যে পাঁচজন রয়েছেন।

নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ১৫০ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন তিন হাজার ৪৩৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭৬ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৩৩২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে দুই হাজার ৫৫৮ জনকে। এখন পর্যন্ত মোট দুই লাখ ২৭ হাজার ৬৪২ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৬৬২ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৩৬১ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৫ হাজার ২২১ জন।’

গেল বছর ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া মহামারী ভাইরাসটিতে দেশে প্রথম আক্রান্ত শনাক্ত হয় গেল ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর মার্চ মাস শেষে পঞ্চাশ জনের মতো শনাক্তের কথা জানা গেলেও এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের হার দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।