পীরগঞ্জে উপজেলা পরিষদের গাছ কেটে সাবাড় !

রুবেল ইসলাম,রংপুর
প্রকাশিত: ০১:৩৮ পিএম, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ | ২৪৯
রংপুরের পীরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মুজিববর্ষ উদযাপনের দোহাই দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের ডালপালা পরিষ্কারের নামে গাছের সিংহভাগ কেটে সাবাড় করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিএমএ মমিনের বিরুদ্ধে ।
 
ছোট বড় প্রায় শতাধিক গাছে বড় বড় ডাল এবং গাছের আগা এমনভাবে কাটা হয়েছে যে এর ফলে গাছগুলো মরে যাওয়ার সম্ভবনা আছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা মনে করেন। এ বিষয়ে গাছ রক্ষা দাবীতে ফুঁসে ওঠে এলাকাবাসী।
 
নানা মহলে অবগত করার পরেও কোন প্রতিকার না পেয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং পীরগঞ্জ আসনের এমপি ড.শিরীন শারমিন চৌধরীর সাথে যায়যায়দিন পীরগঞ্জ প্রতিনিধি যোগাযোাগ করলে তিনি জানান এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না তবে বিষয়টি আমি দেখছি মর্মে আশ্বস্ত করেন।
 
এদিকে গতকালও ইউএনও মমিন দেধাচ্ছে মহোৎসবে গাছ কাটার কাজ অব্যহত রাখলে এলাকাবাসী সপ্রণোদিতভাবে পরিষদ চত্ত্বরে উপস্থিত হয়ে কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করে। এদিকে এ বিষয়ে ইউএনএ মমিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি গাছ কাটা চলবে মর্মে জানান। স্পিকার তাকে কিছু বলেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি যোগাযোগের কথা স্বীকার করে ফোন কেটে দেন।
 
এদিকে এলাকাবাসী সমবেত হয়ে পরিষদ চত্ত্বরে গাছ কাটা বন্ধের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচি পালন শেষে এলাকাবাসী চলে গেলে পুলিশ পাহারায় আবার গাছ কাটার কাজ চালিয়ে যায়। এ বিষয়ে সারা এলাকায় নিন্দার ঝড় শুরু হয়। তাহলে কি নির্দেশ দিলেন মাননীয় স্পিকার এমন আলোচনা টক অবদা টাউনে পরিণত হয়।
 
উল্লেখ্য পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ফলজ, ভেষজসহ নানা প্রজাতির গাছের সমারহ ছিলো। স্থানীয় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার  উদ্যোগে গাছে গাছে ছিলো অসংখ্য পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থলের ব্যবস্থা । গাছপালায় পরিবেষ্টিত মনোরম পরিবেশ ছিলো উপজেলা পরিষদে সেবা নিতে আশা হাজার হাজার মানুষের ক্লান্তি দুর করার আশ্রয়। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিএমএ মমিন সরকারি বিধানের অজুহাতে মুজিববর্ষ উদযাপনে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দোহাই দিয়ে সকল গাছপালা এমনভাবে কেটে ফেলেন যে, এর ফলে পাখির আশ্রয়স্থল বিনিষ্ট হওয়াসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে মর্মে সচেতন মহল মনে করে।
 
এ বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে ইউএনও বলেন, “দাঁড়ি সেভ করলে যেমন হ্যাণ্ডসাম্প লাগে তেমনি গাছের ডালপালা কাটলে গাছের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায়।” তার এ বক্তব্য বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজে। অনেকের মতে তিনি এ কথা বলে নবীর সুন্নতকে তাচ্ছিল্য করেছেন।
 
অন্যদিকে তিনি আরও বলেন যে, তিনি অফিস কে বন এবং বন কে অফিস বানানোর পক্ষে না। এদিকে বন বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন এভাবে গাছ কাটার কোন বিধান নাই। এ বিষয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
 
এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন  চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে এলাকাবাসী। তাদের মতে সযঘাতময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়ে অস্থিতিতিশীল পরিস্থিতির যাবতীয় দায় নিতে হবে ইউএনও মমিনকে।