'রোহিঙ্গা ইস্যুতে নভেম্বরের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন'

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫২ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৭ | ১৮৬

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সমসংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে একটি ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ তৈরি করা হবে। সেই ওয়ার্কিং গ্রুপই সিদ্ধান্ত নেবে কিভাবে, কখন রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গারা কিভাবে তাদের উন্নয়ন করবে  সে বিষয়েও ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করবে।

আজ বৃহস্পতিবার শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার আড়াইআনি পুলিশ ফাঁড়ির ভিত্তিফলক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এসময় তার সাথে ছিলেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নালিতাবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও নালিতাবাড়ী থানার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে। আমরা ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল মিয়ানমারে গিয়েছিলাম। সেখানে তাদের সাথে আমাদের একটি চুক্তি হয়েছ। সেই চুক্তি অনুযায়ী এই ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের উপস্থিতির কারণে টেকনাফ ও উখিয়ায় সামাজিকভারে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টেকনাফ ও উখিয়ার মোট জনগণের চেয়ে তিন গুণ বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। কাজেই আমরা নানা ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। তারপরও রোহিঙ্গারা যাতে শান্তিতে থাকতে পারে, সেজন্য এদেশের শান্তি প্রিয় মানুষ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনী দিন-রাত কাজ করছে।

তিনি বলেন, মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে পুলিশের জনবল কাঠামো আরো বাড়ানো হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশের জনবল বৃদ্ধি এবং এ বাহিনীর জন্য আধুনিক আবাসস্থল ও উন্নত যানবাহনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এ সময় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভুঁইয়া, জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।