নাগরপুরে সড়কের মাঝে গর্ত, দূর্ঘটনার আশঙ্কা

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:১৩ এএম, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০১৯ | ৪১৫

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার নাগরপুর-মির্জাপুর ভায়া মোকনা সড়কে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এছাড়া এই সড়কের ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুর মাঝখানে ব্রিজের উপরিভাগের ঢালাই উঠে গর্তের সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষের এখন পর্যন্ত টনক নড়েনি।

জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি নির্মানের ফলে ঢাকার সাথে নাগরপুরের যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে, কমেছে দূরত্ব ও খরচ। কিন্তু নির্মানের পর থেকে রাস্তাটির মামুদনগর ইউনিয়নের গলাকাটা ব্রিজ সংলগ্ন ও পংবাইজোড়া বাজার সংলগ্ন রাস্তায় ভাঙ্গন ও ফাটল দেখা দিলে প্রতি বার কর্তৃপক্ষ জোড়াতালি দিয়ে তা মেরামত করে।

কিন্তু এবার পংবাইজোড়া বাজার সংলগ্ন রাস্তার মাঝখানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

এ রাস্তা দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী শিক্ষক আবিদুর রহমান জানান, রাস্তার এই অংশে গত বছর বৃষ্টির সময়ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল তখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্থায়ীভাবে মেরামত না করে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করেছিল বলেই আজ রাস্তার এ অবস্থা।

পোষ্টকামারী গ্রামের রফিক মিয়া বলেন রাস্তার দুই পাশ থেকে বন্যার পানি চলে গেলে রাস্তা ধসে পড়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সরেজমিনে রাস্তার ভাঙ্গা অংশে গেলে দেখা যায় ঝুকি নিয়ে বাস, মালবাহী ট্রাক, অটোরিক্সা ও সিএনজি চলাচল করছে। দ্রুত গর্ত মেরামত না করলে যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে বাসচালক আজাহার জানান।

অতি গুরত্বপূর্ণ এ সড়ক ও শেখ হাসিনা সেতুটি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্মান করলেও সদ্য তা সড়ক ও জনপথ বিভাগ আত্তীকরণ করেছে। আর এজন্যই রাস্তা ও সেতু সংস্কারে বিলম্ব হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানান।

বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জেলা অফিসের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে একটি সূত্র জানায় রাস্তার যে সকল স্থানে রেইন কাট রয়েছে বন্যার পর সে সকল রাস্তা মেরামত করা হবে।