মির্জাপুরে ধর্ষণ চেষ্টায় সহযোগীতায় আফিয়া বেগম গ্রেপ্তার

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:৩৬ এএম, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০১৯ | ২২০

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় সহযোগীতা করার অভিযোগে আফিয়া বেগম (৩০) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে পার্শ্ববর্তী দেলদুয়ার উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম রুবির স্ত্রী।

জানা গেছে, কয়েকদিন আগে মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা বাজারে অবস্থিত আব্দুল হকের তিনতলা ভবনে যুগবাণী সমাজকল্যাণ নামে এক এনজিওর এরিয়া ম্যানেজার তানজিরু হাসান জীবনের সঙ্গে টাঙ্গাইলে যাওয়ার সময় বাসে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিচয় হয়।

পরিচয় হওয়ার পর জীবন নিজেকে এশিয়া ব্যাংকের বড় কর্মকর্তার পরিচয় দেয়। তানজিরু কলেজ ছাত্রীকে তার অফিসে চাকুরী দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ফোন নম্বর নেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে যোগাযোগ বেড়ে যায়। গত রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে তানজিরু তার অফিসের স্টাফ আফিয়াকে দিয়ে ওই ছাত্রীকে তার পাকুল্যা অফিসে ডেকে নেয়। সেখানে তার অফিস কক্ষে তানজিরু ছাড়া অন্য কেউ না থাকায় ছাত্রীর সন্দেহ হয়।

এসময় সে অফিস কক্ষ থেকে বের হতে চাইলে জীবন তার হাত ধরে টানাহেচড়া এবং কক্ষের দরজা আটকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায় ওই ছাত্রী কক্ষ থেকে বের হয়ে আসলেও নিচে নামার দোতলার গেটটিও বন্ধ পান। এসময় জীবন তার পিছু নিলে জীবনের অসত উদ্দেশ্য আঁচ করতে পেরে নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে দোতলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে আত্মরক্ষা করলেও গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এসময় জীবন পালিয়ে যান।

দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ায় ছাত্রীর কোমরের হাড় ভেঙ্গে গেছে বলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিথুন রায় জানিয়েছেন। সে এ বছর টাঙ্গাইল কুমুদিনী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বাসাইল উপজেলার সাদীহাটী গ্রামের তানজিরু হাসান জীবন ও আফিয়া বেগমকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মির্জাপুর থানা পুলিশ দুপুরে আফিয়াকে পাকুল্যা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।

মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলাম আফিয়া বেগমকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে জানান, মামলার পক্রিয়া চলছে।