ঝিনাইদহে আম ও তরমুজে আগুন

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০৩:০০ পিএম, শুক্রবার, ২৪ মে ২০১৯ | ২৮০

রোজার মাসকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহ শহর জুড়ে নিয়ন্ত্রহীন বাজারগুলোতে অধিক মুল্যে বিক্রি হচ্ছে আম, পাকা কলা, তরমুজ, কাঁচা তরকারী সহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী। ইফতারি ও সেহরির অন্যতম ফল আম,পাকা কলা, কাঁচ কলা, তরমুজ, কাঁচা তরকারী সহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী দাম যেন আকাশ ছুয়েছে।

বিশেষ করে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ড, হামদহ, আরাপপুর,পায়রা চত্তর, মডার্ন মোড়, বাস টামর্নিাল, চাকলাপাড়া, হাটের রাস্তা, ‘ট’ বাজারের মধ্যে এসব এলাকার দোকানগুলোতে অধিক মুল্যে বিক্রি হচ্ছে পাকা কলা। এদিকে, দিনে দিনের পর দিন মানুষ গরমে অতিষ্ঠ গরমে পাল্লা দিয়ে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরি করে তরমুজের দাম তুঙ্গে উঠেছে।

ছোট তরমুজ ২০০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, মাঝারি তরমুজ ১৫০-২০০ টাকায় আর বড় তরমুজ ৭০০-৮০০ টাকা মুল্য বিক্রি করছেন বিক্রেতা। আবার শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ড, হামদহ, আরাপপুর,পায়রা চত্তর, মডার্ন মোড়, বাস টামর্নিাল, চাকলাপাড়া, হাটের রাস্তা, ‘ট’ বাজারের মধ্যে আম বিক্রয় হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে।

যা সাধারণত মানুযের একেবারে নাগালের বাইরে। অথচ কৃষক অতি সামান্য মুল্য পেয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রোজার শুরুর আগে থেকেই বিভিন্ন জাতের বড় কলার দাম ছিল ১৫-২০ টাকা হালি, অথচ রোজার প্রথম দিন থেকে এক লাফে বাজারে কলার দাম হালি প্রতি বেড়েছে ২০ টাকা ,তারপরও পাওয়া দুষ্কর।

প্রতিটি কলার দাম পড়ছে ১০ টাকা। আকাশ ছোয়া কলার দিকে তাকাতে পারছে না নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। কলার দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বড় ব্যাবসায়ীরা বলছে, সরবরাহ কম যার ফলে কলার দাম বৃদ্ধি হয়েছে। তবে ক্রেতাদের দাবি,এক সপ্তাহ আগেও বাজারে কলার সরবরাহ পর্যাপ্ত ছিল কিন্তু দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কৃত্তিম সংকট তৈরি করছে ব্যাবসায়ীরা। ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

তারা বলছেন কিছু অসাদু ব্যাবসায়ীরা কলার মুল্য দিগুন করেছে। যার ফলে গরিব মানুষ ইচ্ছা থাকলেও কিনতে পারছে না। ক্রেতাগণ দাবি করছেন এসব অসাদু ব্যাবসায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যাবস্থা করা। যেন এই ফল সবাই ভোগ করতে পারে।