ধর্ষণে অভিযুক্ত কোচিং সেন্টার মালিক কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৫ পিএম, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০১৯ | ২৩৬

চট্টগ্রামে এক ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা কোচিং সেন্টার মালিক র‍্যাবের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে নিহত হয়েছেন, বলছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

র‍্যাবের পক্ষ থেকে একটি ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয়েছে, র‍্যাব-৭ এর একটি টহল দলের সঙ্গে গুলিবিনিময়ে রবিবার রাতে ওই ব্যক্তি নিহত হন।

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার উত্তর আমিরাবাদের একটি বাসায় ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

লোহাগাড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, আমিরাবাদের একটি কোচিং সেন্টারে একজন ছাত্রী পড়াশোনা করতেন। গত ১২ই এপ্রিল বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে সেই ছাত্রীর বাসায় গিয়ে তাকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করেন কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও শিক্ষক।

পরে ছাত্রীর মা ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার পরে কোচিং সেন্টারটি বন্ধ করে দিয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক পালিয়ে যান, বলছে পুলিশ।

র‍্যাব দাবি করেছে, ঘটনাস্থল থেকে দুইটি অস্ত্র ও ২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগেও আলোচিত কয়েকটি ধর্ষণ মামলার অভিযুক্তদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে নিহত' হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর আমিরাবাদের আব্দুস সোবহানের ছেলে সাইফুল ইসলাম কিছুদিন আগে এলাকায় ‘সৃজনশীল’ নামে একটি কোচিং সেন্টার চালু করে। সাইফুলের অনুরোধে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী, তার বোন ও দুই ভাইকে ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকে সাইফুলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিবারের যোগসূত্র গড়ে ওঠে।

গত ১২ এপ্রিল ওই স্কুলছাত্রীর মায়ের অনুপস্থিতে তার বাসায় যায় কোচিং সেন্টারের পরিচালক সাইফুল এবং তাকে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই স্কুলছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ধর্ষক সাইফুল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ এক সপ্তাহ চমেক হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসা নেয়ার পর গত ১৯ এপ্রিল বাড়ি ফেরে ওই ছাত্রী।