উৎকোচে নীরব প্রশাসন
চকরিয়ায় ড্রেজার মেশিনের সাহায্য রির্জাভ থেকে বালু উত্তোলন


কক্সবাজার উত্তর বন-বিভাগের আওতাধীন ফুলছড়ি রেঞ্জের অধীন খুটাখালী ও ফুলছড়ি বন-বিটের জায়গার উপর দিয়ে প্রবাহিত খুটাখালী ছড়ার পূর্বদিকে গোদার পাড়ি,নরপাড়ি,মধুরশিয়া ও ধইল্ল্যারঝিরি নামক স্হান থেকে ২০টির মত ড্রেজার মেশিনের সাহায্য বন-পাহাড় খননের বালি ও মাটি পানিতে মিশিয়ে পূর্ণরায় বালু উত্তোলন সহ অর্ধশত বছরী মাদার ট্রি গর্জন,সেগুন জারাইল,মেহগুনিসহ বিভিন্ন জাতের গাছ প্রতিনিয়ত রাতের আধারে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ সচেতন মহলের।
সরেজমিনে দেখা যায়,বন বিভাগের জায়গার উপর সৃজিত সরকারী বনায়নের গাছের মোথার নিচ থেকে মাটি সরিয়ে নিলে ঐ গাছ পড়ে যায়।ঐদিন রাতের আধারে গাছগুলো গাড়ি যোগে কালাপাড়া ও সাপেরগারা নিয়ে বিক্রি করে।ফলে এক দিকে বনায়নের পাড়া খননে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, অন্যদিকে গাছ বিক্রি তে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রায় ২০লক্ষাধিক টাকার মত।
এ ছাড়া ধ্বংস হচ্ছে বন ও বনায়নের গাছ,নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ ভারসাম্য,বন কর্মীদের হাতেও রক্ষা নেই বন-ভূমিও,রেঞ্জ কর্মকর্তা ছৈয়দ আবু জাকেরিয়া মোটা অংকের নেওয়া উৎকোচে বিনিময়ে এসব অবৈধ কর্মকান্ড চালাতে সক্ষম অসাধু প্রভাবশালী বালু বন খেকোরা।
জানা যায়,সিন্ডিকেট বন ও বালু খেকোরা হলেন,খুটাখালীর ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার মৃত মোঃ হোছেনের পুত্র আনোয়ার হোছেন,একই ওয়ার্ডের ছড়িবিল গ্রামের হাজী জব্বরের পুত সাইফুল ইসলাম(বালু সাইফুল),পূর্ব পাড়ার বশির ড্রাইভারের পুত্র লিটন,মোজাফ্ফর এর পুত্র আলমগীর,মৃত ডাঃ নুরুল ইসলামের পুত্র মোঃ পেটান,কবির আহমদের পুত্র বেলাল উদ্দিন ও কামাল উদ্দিন এবং মৃত লাল মিয়ার পুত্র মোঃ বাবুলসহ আরো অনেক রয়েছে এ সিন্ডিকেটে।
সচেতন মহল আরো জানান,বিগত পাচঁ বছর পূর্বেও এই লোকেরা ছিল কুলি, শ্রমিক ও শূণ্য হাতের মানুষ।বর্তমানে তারা সরকারী বন-ভূমি গাছ ও অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে দীর্ঘ আড়াই বছরের মধ্য প্রত্যেকেই ২৫/৩৫ লক্ষ টাকার মালিক।
বালু উত্তোলনকারী মেম্বার আনোয়ার হোছেন মুঠোফোনে বলেন,আমি ওখানে জড়িত কে বলেছে।এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না।উদ্দ্যেশ মুলক আমার নাম বলেছে।
বালু সাইফুল মুঠোফোনে বলেন,আমি সরকার থেকে ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করছি।তবে মেশিন দিয়ে নয়,রির্জাভ থেকেও নয়।বরং এ সব দোষমণি ছাড়া কিছুই নয়।তাহলে কারা রির্জাভ খেয়ে বালু ও গাছ নিচ্ছে বলার সাথে-সাথে লাইন কেটে দেয়।
ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ছৈয়দ আবু জাকেরিয়াকে ফোন করলে তাহার ফোন ইনগেজ পাওয়াই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার উত্তর বন-বিভাগীয় কর্মকর্তা(ডিএফও) হক মাহবুব মোর্শেদ মুঠোফোনে বলেন,আমি গত ২দিন আগে গিয়েছি।তখন কিছুই দেখিনি।যদি কেউ এধরণের কাজ করে প্রমাণ পায়,তাহলে আমি আইনগত ব্যবস্হা নিতে বাধ্য হব।তবে এখন আমি খুজঁ নিব।