শেখ হাসিনা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেত্রী: অর্থমন্ত্রী

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৬ পিএম, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৭ | ৫৭৫

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কিছু পাওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ তিনি এখন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেত্রী।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী একথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, ‘স্থলবন্দরটি উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে সরকার আরেকটি মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এছাড়া এ বন্দর থেকে প্রতি বছর শত কোটি টাকা আসবে সরকারের ঘরে। যা দেশের জন্য বিরাট পাওয়া।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সাফল্যের মধ্যে রয়েছে ১১টি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠিত হওয়া। আরও ১০টি কন্টেইনার বন্দর স্থাপনের কাজ চলছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময় এদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিলেন, তা এখন সাড়ে ২২ শতাংশে নেমেছে। আগে এক কোটি ১০ লাখ টন খাদ্য উৎপাদন হতো, এখন তিন কোটি ৮০ লাখ টন খাদ্য উৎপাদন হয়। 

দেশ স্বাধীনের পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামবন্দরের অবস্থান ছিল ৯৮তম, এখন ৭১তম স্থানে এসেছে, উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা করলে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে আর্থিক উন্নতি হয়। ইতোমধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছে গেছি, যদিও সার্টিফিকেট পাইনি। ২০৪১ সালে সত্যিই আমরা সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতে পারবো। গত নয় বছরে দেখেছি, আমাদের দেশের মানুষ বাধা না পেলে নিজের জোরেই এগিয়ে যায়। সবাই করিৎকর্মা। এখন আয় বেড়েছে মানুষের প্রচেষ্টায়।

স্থলবন্দরের ফলে এ অঞ্চলে কর্মসংস্থান বাড়ার পাশাপাশি দরিদ্রতা কমে যাবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে দেখেছি বাঙালি এমন এক জাতি যারা কোনও ধরনের বাধা না পেলে ঝড়ের গতিতে এগিয়ে যায়।’

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, নৌ পরিবহন সচিব আব্দুস সামাদ।

স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, ২০০২ সালে তামাবিল শুল্ক স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপান্তরিত করার ঘোষণা হয়। বন্দরে উন্নীতের কার্যক্রমের মধ্যে ২৩ দশমিক ৭২ একর ভূমি অধিগ্রহণ, এক লাখ নয় হাজার ৩৩০ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন, দুই হাজার ৫০০ মিটার সীমানাপ্রচীর তৈরি, ৮ হাজার ১৮০ বর্গমিটার অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ, ২৭ হাজার বর্গমিটার উন্মুক্ত স্টাক ইয়ার্ড নির্মাণ, ৭৪৪ বর্গমিটার ওয়্যারহাউস নির্মাণ, এক হাজার ৩৪৯ বর্গমিটার অফিস, ডরমেটরি ও ব্যারাক ভবন নির্মাণ, দুই হাজার মিটার ড্রেন নির্মাণ, দুটি ওয়েব্রিজ ও দুটি ১০০ মেট্রিকটন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ওয়েহিং স্কেল সংগ্রহ করা এবং পাঁচটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে।