চিহ্নিত খালে নির্মাণ-দখল বন্ধের নির্দেশ


ঢাকা জেলা প্রশাসনের চিহ্নিত করা খালগুলোর ওপর নির্মাণ ও দখলের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এসব খাল বা জলাধারগুলো অবৈধ দখলদারমুক্ত করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা প্রতিবেদন আকারে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসককে।
একইসঙ্গে দখলকৃত খালসমূহ পুনরুদ্ধারে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্থানীয় সরকারসচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজউক চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা উপস্থিত ছিলেন।
রূপনগর খাল নিয়ে গণমাধ্যমে ‘রূপনগর খাল নিয়ে কুৎসিত কর্মকাণ্ড’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এ প্রতিবেদন নজরে এলে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেয়। রূপনগর খালের জলসীমায় খালটির পানিনিষ্কাশন ব্যাহত করে এমন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেছে আদালত। একই সঙ্গে খালটির জলসীমা নির্ধারণ করে সব ধরনের উচ্ছেদ কার্যক্রমে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জেলা প্রশাসককে জানাতে বলে ১২ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।