সর্বশেষ অবস্থা
তিনদিনের যানজটে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক স্থবির


টানা তিনদিনের যানজটে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক স্থবির হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে ৬০ কিলোমিটার থেকে কমে এখন ১৮ কিলোমিটারের মধ্যে ধীর গতিতে যানবাহন চলছে বলে জানা গেছে। ফলে মির্জাপুর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত এলাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি এখনো শেষ হয়নি । চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী, শ্রমিক ও চালকরা।
এদিকে তিনদিনের বৃষ্টি ও যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। আর বৃষ্টিতে এসব গর্তে জমেছে পানি।
এর সাথে এর সাথে রয়েছে চন্দ্রাতে উড়াল সড়ক, টাঙ্গাইলের পৌংলিতে ব্রীজের কাজ চলমান এবং মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ এলাকায় নির্মণাধীন রাস্তার কিছু অংশ দেবে যাওয়া।সঙ্গে মহাসড়কের চারলেনের কাজের খোড়াখুড়িতো আছেই।
শুক্রবার ভোররাত থেকে শুরু হয় এ যানজট। দুপুরের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও সন্ধ্যা ছয়টার পর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি যান বিকল হলে আবার যানজটের সৃষ্টি হয়।
যানজট এক পর্যায়ে মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে মির্জাপুরের পাকুল্যা পর্যন্ত প্রায় ২৮ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী হয়। পরে পুলিশ বিকল যানবাহন সরিয়ে নিলে রাত ১২টার দিকে ধীর গতিতে যান চলাচল শুরু হয়।
শনিবার সকাল থেকে আবার শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। যানজটে আটকা আর বৃষ্টির কারণে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যানজটের কারণে খবরের কাগজও মির্জাপুরে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিলম্বে আসে। যানজটে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নারী ও শিশু যাত্রীরা। বিকেল থেকে অবস্থা আরো অবনতি হতে থাকে।
সন্ধা ছয়টার পর থেকে যানজট আরো বিস্তৃত হতে থাকে। রাতে এই যানজট টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত পৌছে যায়। এলেঙ্গা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত রাতভর থেমে থেমে যান চলতে থাকে। যানজটের কারনে মির্জাপুরের দেওহাটা থেকে পুষ্টকামুরী চরপাড়া হয়ে যানবাহন চলা শুরু করলেও সেখানেও যানজটের সৃষ্টি হয়।
রোবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মহাসড়কে গিয়ে দেখা গেছে থেমে থেমে যানবাহন চলছে। পাঁচ মিনিট চললে আবার দশ মিনিট থেমে থাকে।
গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকের সহকারী জাইদুল বলেন রাত বারটায় এলেঙ্গা থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত আসতে সময় লেগেছে নয় ঘন্টা। কুড়িগ্রা থেকে ছেড়ে আসা সৈকত পরিবহন যাত্রীবাহি বাসের চালক মুকুল বলেন যমুনা সেতুর পশ্চিমে কোন যানজট নেই, কিন্তু এলেঙ্গা থেকে সাড়ে আট ঘন্টায় মির্জাপুর এসেছে।
টাঙ্গাইল সদরের উপ সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ রেজা মির্জাপুর বাইপাস স্টেশনে দুই ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে বাসায় ফিরে যান।
বিকেল পাঁচটায় মহাসড়কে গিয়ে দেখা গেছে একদিকে বন্ধ করে আরেক দিকে যানবাহন চলছে।
গাড়ির চাপ রয়েছে অত্যাধিক বেশি। মির্জাপুর থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও মির্জাপুর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার রাস্তা ধীর গতিতে যাবাহন চলছে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক জানান, অপরিকল্পিত ভাবে মহাসড়কে চারলেন উন্নিতকরণ কাজ শুরু হওয়ায় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। টাঙ্গাইলের দিকে বিকেল থেকে যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চললেও চন্দ্রার দিকে ধীর গতিতে যান চলছে।